আর্যতীর্থ –
বাকিটা ব্যক্তিগত কখনো হবে না আর আজকের দিনে।
চাও বা না চাও, ক্যমেরা চলছে । সি সি টি ভি লেগে গেছে সবার জীবনে, ওই দেখো, তোমার গুপ্তকথা কেউ খুলে বলছে।
কি খাও কি পরো কোথায় কোথায় যাও, কার সাথে কফি আর কাকে চুমু খাও, সব যায় জানা । চুপিচুপি ঘোমটা আড়ালে কোন খেমটা নাচাও, আজকাল সে খবর লাখকান হতে কোনো সময় লাগেনা।
নাই বা নাচালে, লোক সাদাসিধে তুমি, জীবন ঘোরালো নয় যুগ অনুযায়ী।কি ভাবো, তাতেও কি পেয়ে যাবে ছাড়? ক্যামেরা রেকর্ড করে তোমারও জীবনধারা জেনো পুরোটাই, কে জানে প্রয়োজন হয়ে পড়ে কখন আবার!
সবার জীবন বড় যান্ত্রিক আজ, যাপনের প্রতি ক্ষণ যন্ত্রনিয়ন্ত্রিত। জীবিকা বা অবসর, সখ আহ্লাদ ,সুখ অসুখ ও নেশা, আবেগ বন্ধুপ্রীতি প্রেম প্রতিবাদও আজ যন্ত্রদূষিত, যন্ত্রই ঠিক করে কার সাথে আড়ি ভাব, কতটা গভীরে যাবে মন মেলামেশা।
যন্ত্র ফেলছে শিখে পছন্দ অপছন্দগুলো, নিভৃতে করছে তাকে স্টোর। পাসওয়ার্ড শুধু নয়, ফোন নম্বর নয়, যন্ত্র আজকে আরো জানে, ভাবনা নিচ্ছে টুকে প্রত্যহ ডিজিটালে মগজ অলস করা চোর। যন্ত্রের হাতে সঁপি আগামীর চাবিকাঠি প্রভূ বনবার বৃথা ভানে।
আজকাল মনে হয়, যে যেখানে নিজের ইচ্ছে ভেবে যাই করছো,
স্বাভাবিক কিছু নয় , সবই বোধহয় কোনো যন্ত্রের রিয়েলিটি শো।
Be the first to comment