জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে অসমের যে চল্লিশ লক্ষ মানুষের নাম ওঠেনি, তাঁরা ফের আবেদন জানাতে পারবেন। বারবার এ কথা বলছে মোদি সরকার। কিন্তু, যে সব নথি চাওয়া হচ্ছে, তাতে খাতায় কলমে সুযোগ মিললেও, আদতে ফের তালিকায় নাম তোলা অনেকের পক্ষেই বেশ কঠিন।
অসমের নাগরিকপঞ্জিতে নাম ওঠেনি ৪০ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৭ জনের। এ নিয়ে উত্তাল দেশ। প্রতিদিনই ঝড় উঠছে সংসদে। কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাস দিচ্ছে, যাঁদের নাম ওঠেনি, তাঁরা ফের নাম অন্তর্ভুক্ত ও সংশোধনের সুযোগ পাবেন। কিন্তু, সেই সুযোগ কি শুধু নামেই? অনেকেই এই প্রশ্ন তুলছেন কারণ, তালিকায় নাম তোলার জন্য যে সব নথি জমা দিতে বলা হচ্ছে, তা সবই হতে হবে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে ইস্যু করা। যেমন, লিগ্যাসি ডকুমেন্ট হিসেবে চাওয়া হচ্ছে, ১৯৫১ সালের এনআরসি ৷ প্রশ্ন উঠেছে, ৬৭ বছর আগের এই নথি কজনের কাছে আছে? এ ছাড়া নথি হিসেবে যা চাওয়া হচ্ছে ,
নতুন করে আবেদনের জন্য ৭ অগাস্ট থেকে ফের ফর্ম বিলি করা হবে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। ৩০ অগাস্ট থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত নথি-সহ ফর্ম জমা দিয়ে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা যাবে ৷ কিন্তু, যে সব নথি চাওয়া হয়েছে, তা সবই অত্যন্ত পুরোন। যা হয়ত অনেকের কাছেই নেই। আর না থাকলে, তা জোগাড় করাও মুশকিল।
ফলে মোদি সরকার ফের নাম তোলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বললেও, তা মূলত খাতায়-কলমে বলেই দাবি অনেকের। আদৌ কত জন মানুষ, অসমের নাগরিকপঞ্জীতে নতুন করে নাম তুলতে পারবেন তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, নাগরিকপঞ্জির দ্বিতীয় খসড়ার উপর ভিত্তি করে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। কিন্তু, তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার আগে অসমে ভোট হলে কি হবে? যাঁদের ভোটাধিকার আছে কিন্তু জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে নাম নেই, তাঁরা কি ভোট দিতে পারবেন? এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
Be the first to comment