করোনা আক্রান্ত সঙ্কটজনক রোগীদের চিকিৎসায় বড় ভূমিকা নিচ্ছে রেমডেসিভির। জীবনদায়ী প্রতিষেধক হিসেবে উঠে এসেছে এই ইঞ্জেকশন। এই অবস্থায় রাজ্যগুলির জন্য নতুন করে রেমডেসিভির বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। ৩৬ টি রাজ্যের জন্য মোট ৩৪ লক্ষ ৫০ হাজার ডোজ রেমডেসিভির বরাদ্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে শনিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
এই বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে, কোভিডে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রের জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণ ভ্যাকসিন বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। মহারাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার ডোজ। এ বাদে উত্তর প্রদেশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ২০০ টি ডোজ। দিল্লিকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৯০০ ডোজ দেওয়া হচ্ছে। মধ্য প্রদেশ, কর্নাটক, গুজরাট, রাজস্থান, তামিলনাড়ুর মতো আরও অনেক রাজ্য লক্ষাধিক ইঞ্জেকশনের ডোজ পাচ্ছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৯৪ হাজার ৪০০ ডোজ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।
সম্প্রতি রেমডেসিভিরের ব্যবহার এবং প্রয়োগ নিয়েও নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এই ইঞ্জেকশনের অপ্রতুলতার কথা মাথায় রেখে দিনকয়েক আগেই বদল করা হয় তা ব্যবহারে নিয়ম। রাজ্য জানায়, সমস্ত করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এই ইঞ্জেকশন প্রযোজ্য নয়। কেবলমাত্র ১০-২০ শতাংশ কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় এটি প্রয়োজন পড়ে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনার উপসর্গ দেখতে পাওয়ার ৫-১০ দিনের মধ্যে এই রেমডেসিভির ব্যবহার করা যাবে। যদি ১০ দিন পরও উপসর্গ থাকে সেক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা যাবে না। এই ইঞ্জেকশনের প্রয়োগ কেস-টু-কেস, অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ভাবে হবে।
হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্য ভবন নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল, কোনও ডাক্তার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর প্রেসক্রিপশনে রেমডেসিভির লিখে ছেড়ে দিতে পারবেন না। যদি রোগীর চিকিৎসার জন্য তা প্রয়োজন হয়, তবে হাসপাতালকেই জোগাড় করে দিতে হবে। খোলা বাজারে বা কোনও দোকানে আপাতত রেমডেসিভির সরবরাহের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর।
Be the first to comment