জেলাশাসকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে দু’টি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। ২ মার্চ পুরভোটের ফলপ্রকাশ, তাই আগামিকাল অর্থাৎ ১ মার্চ হবে ভোট। তার মধ্যে রয়েছে দমদম ও শ্রীরামপুরের একটি করে বুথ।
রবিবার রাজ্যের ২০টি জেলার ১০৮ পুরসভার ভোট ছিল। ভোট গ্রহণ হয়েছে ১১ হাজার ২৮০টি বুথে। পুরভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে অশান্তি করার অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতারা। একাধিক জায়গায় পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছিলেন। এদিকে নিয়ম মেনে ভোটের পর জেলাশাসকদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল কমিশন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের মাত্র দুটি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস জানান, “শ্রীরামপুরের ২৫ ওয়ার্ডের ৭ নম্বর বুথ অর্থাৎ মহেশ কলোনি যুব কিশোর সংঘ ও দক্ষিণ দমদমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের চার নম্বর বুথ অর্থাৎ লেক পয়েন্ট স্কুলে রিপোল হবে।” তবে অশান্তি বা ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে পুনর্নিবাচনের সিদ্ধান্ত নয় বলেই খবর।
জানা গিয়েছে, জেলাশাসকের রিপোর্ট অনুযায়ী এই বুথ দুটিতে নিয়ম মেনে ভোট করানো যায়নি। সেই কারণে সব দিক বিবেচনা করে ওই দুটি বুথে ফের ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। আগামী ২ তারিখ পুরভোটের ফল প্রকাশ। সেই কারণে আগামিকাল ১ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে ওই দুটি বুথে।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিজেপি ও বামেরা। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দুটোতে করানোর কী দরকার। শান্তিপূর্ণ ছাপ্পা হয়েছে। দু-চারটে জায়গায় ভোট হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষমতা নেই।” পালটা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “বামেরা আর বিজেপিই তো ইভিএম ভেঙেছে। ওদের বিষয়ে কিছু বলারই নেই।”
Be the first to comment