আবারও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ট্যাবলোকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র রাজ্য চাপান উতোর তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসে এবারও থাকছে না পশ্চিমবঙ্গের কোনও ট্যাবলো। প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে রাজধানীর রাজপথে কুচকাওয়াজের পর বিভিন্ন রাজ্যের সুসজ্জিত ট্যাবলো অংশগ্রহণ করে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তৈরি বিশেষ কমিটি ট্যাবলোর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। সূত্র মারফত খবর, রাজ্য সরকারের তরফে এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আইএনএ বিষয়ক ট্যাবলো পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে নবান্ন সূত্র খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়।
আগামী ২৬ জানুয়ারিতে এবারে থিম ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই থিম বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীর উপলক্ষে এবার নেতাজিকে সামনে রেখেই ট্যাবলো পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌখিকভাবে রাজ্যের প্রস্তাব খারিজের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে লিখিত ভাবে এখনও রাজ্য সরকারকে কিছু জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগেও প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো পাঠানোকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত তৈরি হয়েছিল। ২০২১ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসেও রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, জল ধরো জল ভরো-র মতো বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প নিয়ে পাঠানো ট্যাবলোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে বাকযুদ্ধ চরমে ওঠে।
বাংলার ট্যাবলো প্রস্তাব খারিজ হওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার সঙ্গে চিরকালই এই ধরনের আচরণ করা হয়। এই ধরনের চেষ্টা বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বাংলার মানুষকে অপমান। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। এই ট্যাবলো যেন বাতিল না করা হয় সেই নিয়ে আবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হবে।”
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনের দিন বিভিন্ন মহল থেকে জাতীয় ছুটির ঘোষণা দাবি উঠেছিল। এখনও অবধি সেই দাবিকে মান্যতা না দিলেও নেতাজি সুভাষের সম্মানে নতুন পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এখন থেকে প্রত্যেক বছর ২৩ জানুয়ারি থেকেই দেশে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন শুরু হবে। এতদিন ধরে ২৪ জানুযারি থেকে উদযাপন শুরু হয়ে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন উদযাপন শেষ হত। সেই নিয়মেই এবার বদল আনছে কেন্দ্র।
Be the first to comment