দুমাসেরও বেশি সময় একটানা লকডাউন চলার পর সোমবার থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন ৷ খুলে যাচ্ছে অফিস, রেস্তোরাঁ, হোটেল, শপিং মল ৷ তবে করোনা সংক্রমণ রুখতে সর্বত্রই মেনে চলতে হবে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ ৷ কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে অবশ্য এই সমস্ত পরিষেবা এখনও বন্ধই থাকছে ৷
কেন্দ্রীয় সরকার যে নির্দেশিকাগুলি দিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো দু’ জন ব্যক্তির মধ্যে ৬ ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ৷ হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে ৷ হাঁচি, কাশির সময় সতর্ক থাকতে হবে৷ কোথাও থুতু ফেলা যাবে না ৷ সবাইকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে এবং তার নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে ৷
হোটেল এবং রেস্তোরাঁতে প্রবেশ এবং বেরনোর সময় স্যানিটাইজার এবং থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে ৷ যে কর্মীদের মধ্যে কোনও উপসর্গ নেই, শুধুমাত্র তাঁরাই কাজে আসতে পারবেন ৷ গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য৷ প্রত্যেকেরই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ৷ কর্মীদের পরতে হবে গ্লাভস এবং অন্যান্য সুরক্ষা বিধিও মেনে চলতে হবে ৷
সম্ভব হলে হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলিতে গ্রাহক এবং কর্মীদের প্রবেশ ও বেরনোর জন্য পৃথক গেটের ব্যবস্থা করতে হবে ৷ লিফট-এ মানুষের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ৷ গ্রাহকদের রিসেপশনে নিজের ট্রাভেল ডিটেলস দিয়ে একটি ফর্ম ভরতে হবে ৷
সমস্ত হোটেল, রেস্তোরাঁতে কনট্যাক্টলেস পেমেন্ট-এর ব্যবস্থা রাখতে হবে৷ অতিথিদের ঘরে পাঠানোর আগে তা জীবাণুমুক্ত করতে হবে ৷ লাগেজও জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে ৷ রেস্তোরাঁয় বসার ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে ৷ কাপড়ের বদলে ডিসপোজেবল ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে ৷
হোটেল এবং রেস্তোরাঁতে খাওয়াদাওয়ার জন্য রুম সার্ভিস এবং টেক অ্যাওয়ে-এর উপরেই জোর দিতে হবে ৷ ফুড ডেলিভারি স্টাফদের হোটেলের ঘরের বাইরেই খাবার রেখে আসতে হবে ৷ হোম ডেলিভারিতে যাওয়ার আগে কর্মীর থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে ৷ হোটেলের ঘর, রেস্তোরাঁতে এসি-র তাপমাত্রা ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড-এর মধ্যে রাখতে হবে ৷ আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে ৷
সর্বত্রই নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে, জীবাণুমুক্ত করতে হবে ৷ দরজার হাতল, লিফট-এর সুইচ-এর মতো যে জায়গাগুলি বার বার স্পর্শ করা হয়, সেখানে জীবাণুনাশক দিয়ে ঘন ঘন পরিষ্কার করতে হবে ৷ একই ভাবে বাথরুমগুলিও নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে ৷ ফেস কভার, মাস্ক এবং অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের পর ফেলার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা রাখতে হবে ৷
যদি কোনও ব্যক্তির মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা যায় তাহলে তাঁকে এমন জায়গায় রাখতে হবে যা সম্পূর্ণ আইসোলেটেড ৷ ওই ব্যক্তিকে সবসময় মাস্ক এবং ফেস কভার পরিয়ে রাখতে হবে ৷ এরপর দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতাল বা চিকিৎসা কেন্দ্রে খবর দিতে হবে ৷ করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে ওই ব্যক্তি যেখানে ছিলেন সেই চত্বরটি পুরোপুরি জীবাণমুক্ত করতে হবে ৷
Be the first to comment