বুধবার প্রকাশিত হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশিত হবে আগামী ১৭ জুলাই। একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘মাধ্যমিক পরীক্ষার সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। তাই মেধা তালিকা প্রকাশিত হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়নি। তাই সিবিএসসি ও অন্যান্য বোর্ডের মতো মেধা তালিকা প্রকাশিত হবে না উচ্চমাধ্যমিকে।’
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই ফোন আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আলাপন লাউডস্পিকারে ফোন ধরে সাংবাদিকদের মমতার কথা শোনান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কী ভাবে, কোন ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখা যাবে তা শিক্ষা দফতর জানাবে। তিনি আগাম অভিনন্দন জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীদের।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, চলতি সপ্তাহেই প্রকাশিত হতে পারে মাধ্যমিকের ফল। জুন মাসের শুরুতেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মাধ্যমিকের খাতা দেখা হয়ে গিয়েছে। নম্বর সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ফল প্রকাশ করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু করোনার দাপট যেভাবে বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় কেউই। ফলে সতর্কতার সঙ্গে এ বার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, ফল প্রকাশ করলেও মার্কশিট দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু নতুন নিয়ম চালু করা হতে পারে পরিস্থিতির কথা ভেবে। সেই সূত্রেই এ বার পরীক্ষার্থীদের স্কুলে ডেকে মার্কশিট দিতে চাইছে না পর্ষদ। তার পরিবর্তে অনলাইন ফল প্রকাশের পর সুযোগ বুঝে অভিভাবকদের আসতে হবে স্কুলে। স্কুলই সেই সময়ও নির্দিষ্ট করে দেবে। অ্যাডমিট কার্ড ও রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নিয়ে অভিভাবকরা গেলেই মিলবে মার্কশিট।
সূত্রের খবর, মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের আগে প্রত্যেকটি স্কুল ভালো করে সংক্রমণমুক্ত করা হবে। স্কুল স্যানিটাইজ না করলে মার্কশিট পাঠানো হবে না বলেও জানিয়েছে পর্ষদ। ফলপ্রকাশের দিন কেবলমাত্র কে কত নম্বর পেয়েছে, তা ওয়েবসাইট এবং এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবে। পরে মার্কশিট অভিভাবকদের দেওয়া হবে।
এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। আর শেষ হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। হিসেব মতো মে মাসের মধ্যে ফল প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্চ মাস থেকেই দেশে করোনা পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। লকডাউন করতে হয় গোটা দেশজুড়ে। লকডাউন উঠলেও স্কুল কবে খুলবে, তা নিয়ে কোনও নিশ্চিয়তা নেই। এমনকী অনেকেরই আশঙ্কা এ বছর স্কুল আদৌ খুলবে তো? তবু, পরীক্ষার্থীরা ফল প্রকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮। যা গতবারের তুলনায় সামান্য কম। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল এ বছর ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।
Be the first to comment