আরজি কর ঘটনায় পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই, দাবি তৃণমূল সাংসদের

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি, কলকাতাঃ আরজি করে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাত দখলের কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেবেন, নিজেই সেকথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। নিজের মতো করে বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিবাদ কর্মসূচিও করেন তিনি। ওই দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে নেতাজি মূর্তির সামনে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ধর্নায় বসেছিলেন সুখেন্দুশেখর। এবার আরও বড় পজক্ষেপ নিলেন তিনি। আরজি কর কাণ্ডে এবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়ে সিবিআইকে চিঠি লিখেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। শনিবার রাতে সোশ্যাল মাধ্যমে একটি পোস্ট করে নিজেই একথা জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।
নিজের দাবির সপক্ষে একাধিক প্রশ্নও রেখেছেন তিনি। সুখেন্দুশেখরের মতে, “কারা আত্মহত্যার কথা রটিয়েছিল? কেন ৩দিন পরে ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ? কেন সেমিনার হলের দেওয়াল ভাঙা হল? এরকম শতাধিক প্রশ্ন আছে। সিপি, প্রাক্তন অধ্যক্ষকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করুক সিবিআই। তাহলেই জানা যাবে কীভাবে তাঁরা এতটা প্রভাবশালী, কাদের আশ্রয়ে এই কর্মকাণ্ড।” আরজি কর কাণ্ডে স্বচ্ছ্বতার সঙ্গে দ্রুত তদন্ত শেষ করার জন্যও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে আবেদন রেখেছেন তৃণমূল সাংসদ।


প্রসঙ্গত, বুধবার মধ্য রাতে হামলার ঘটনার পর নারী নিরাপত্তা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও লিখেছিলেন। এ ব্যাপারে আইন আরও কঠোর করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। আরজি কর প্রসঙ্গ টেনেই সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় দেশের অনেক জায়গাতেই এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে, ঘটেও। তা যাতে ভবিষ্যতে আর না হয় সেজন্য আরও কঠোর আইন আনা জরুরি। শুক্রবার অমিত শাহকে দেওয়া তাঁর চিঠিতে সুখেন্দু শেখর রায় উল্লেখ করেন, এটাই সময় কঠোর কেন্দ্রীয় আইন আনার। শীতকালীন অধিবেশনেই যাতে এই সংক্রান্ত বিল আনা হয়, সে আর্জিও করেছেন তিনি। ওই সময় সুখেন্দুশেখরের প্রশংসাও শোনা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কণ্ঠে।
এবার আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং পুলিশ কমিশনারকে গ্রেফতারের দাবি জানালেন। যা নিয়ে নতুন করে শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*