নবমিতা গড়াই দাস –
ঋদ্ধি সেন পেলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ঋদ্ধ করলো বাংলা তথা দেশকে। ট্রান্সজেন্ডার তথা রূপান্তরকামীদের জীবন, আশা-আকাঙ্খা প্রেম নিয়ে কৌশিক গাঙ্গুলী পরিচালিত নগরকীর্তন ৬৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে পেলো চারটি পুরস্কার। স্পেশ্যাল জুরি অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট অ্যাক্টর, বেস্ট কস্টিউম এবং বেস্ট মেক-আপ আর্টিস্ট।
স্বভাবতই খুশি কৌশিক গাঙ্গুলী বললেন, এই কৃতিত্ব নগরকীর্তনের সঙ্গে যুক্ত সবার। ১৯ বছরের ঋদ্ধি এখন মুম্বাইয়ে শুটিং-এ ব্যস্ত। তারই ফাঁকে রোজদিনকে বলে, জাতীয় পুরস্কার নিশ্চয়ই একটা বড় প্রাপ্তি। আমি কৃতজ্ঞ পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলীর কাছে। রূপান্তরকামীদের নিয়ে করা ছবিতে অভিনয় করতে পারা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। আমি সেই চ্যালেঞ্জ অ্যাক্সেপ্ট করেছি। তার ফলও পেলাম। তবে এই পুরস্কার পাওয়ার পেছনে সর্বোপরি ভালো অভিনয় করার জন্য দুজন মানুষের ভূমিকা অনস্বীকার্য্য। এই দুই মানুষ হলেন বাবা কৌশিক সেন, মা রেশমি সেন। মা-বাবা হিসাবে এই অভিনেতাকে পাওয়া নিঃসন্দেহে গর্বের। বিশেষ করে মা রেশমি সেনের প্রভাব তাকে গড়ে তুলতে বেশি সাহায্য করেছে। স্বপ্ন সন্ধানী দলে নিয়মিত অভিনয় করে ঋদ্ধি। তার দুচোখে এখন স্বপ্ন অভিনয়ের অতল জল থেকে মণি-মাণিক্য-মুক্ত সন্ধান করা। ঋদ্ধির এই চলার পথে রোজদিনের থাকলো শুভেচ্ছা।
Be the first to comment