ঋষভের মৃত্যুর পর থেকেই শোকস্তব্ধ ছিল তাঁর বাড়ির এলাকা। শনিবার সকাল থেকেই খোলা হয়নি একটিও দোকানপাট। শনিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ ঋষভের নিথর দেহ পৌঁছায় তাঁর বাড়িতে। আর সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়ল গোটা পাড়া। শনিবার ঋষভের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পোলবায় তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছিল গোটা এলাকার মানুষ। মরদেহ যে মুহূর্তে বাড়ির সামনে পৌঁছায় কেউ কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না একরত্তি ছেলেটার এভাবে চলে যাওয়া।
শনিবার ভোররাতে চিকিৎসকদের সবরকম চেষ্টা ব্যর্থ করে লড়াই শেষ করে ঋষভ। ভোর ৫টায় সময় ঋষভকে মৃত বল ঘোষণা করেন এসএসকেম-এর চিকিৎসকরা ৷ শুক্রবার রাত থেকেই ধীরে ধীরে অবনতি হচ্ছিল ঋষভের শারীরিক পরিস্থিতির। রাতেই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে মারাত্মক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ক্রমেই অবস্থার অবনতি হচ্ছে ঋষভের৷ তারপর থেকেই বাড়ছিল আশঙ্কা। রাতেই তার পরিবারের লোকেদের ডেকে পাঠানো হয়।
খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে আসে ঋষভের আত্মীয়-পরিজনরা ৷ ঋষভকে বাঁচাতে শেষ চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা ৷ ডায়ালিসিস করার ভাবনা শুরু করেন তাঁরা ৷ ঋষভকে দেওয়া হয় ৩৬ ইউনিট রক্ত ও প্লাজমা ৷ কিন্তু শেষরক্ষা হল না ৷ ভোরবেলায় চিকিৎসকদের আশঙ্কাই সত্যি হয় ৷ বাঁচানো গেলো না খুদে এই স্কুল পড়ুয়াকে ৷ মারা যায় ঋষভ ৷
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পোলবার কামদেবপুরে চুঁচুড়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে। খুদে পড়ুয়ারা গুরুতর আহত হয় ৷ সবথেকে দেরিতে উদ্ধার করা হয় দুই পড়ুয়া ঋষভ ও দিব্যাংশু ৷ এদের অবস্থা খারাপ থাকা গ্রিন করিডোর করে দু’জনকেই আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে ৷
Be the first to comment