ইরফান খানের পর ঋষি কাপুর। প্রয়াত হলেন বলিউডের আরও এক দাপুটে অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। অমিতাভ বচ্চন ট্যুইটে ঋষি কাপুরের প্রয়াণের খবর নিশ্চিত করেন।
আবার গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় বুধবার রাতে মুম্বইয়ের স্যার এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় ঋষি কাপুরকে। নিউ ইয়র্কে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যানসারের চিকিত্সা করিয়ে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে ফেরেন বর্ষীয়ান এই বলিউড অভিনেতা।
ঋষি কাপুরের দাদা তথা আর এক বর্ষীয়ান অভিনেতা রণধীর কাপুর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা সত্যিই যে ওঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ও এই মুহূর্তে স্যর এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হসপিটালে ও রয়েছে। ওর শরীর খারাপ করে এবং কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তাই আজ (বুধবার) ভোর বেলায় ওকে শীঘ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থা কি খুব সংকটজনক? এই প্রশ্নের উত্তরে রণধীর জানান, অতটা খারাপ অবস্থা হলে আমিও এখন হাসপাতালে থাকতাম। ও ঠিক হয়ে যাবে। নীতু ওর সঙ্গে আছে।
কয়েক বছর আগেই ক্যানসারে আক্রান্ত হন ঋষি কাপুর। আর তার পরে টানা এক বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন চিকিৎসার খাতিরে। ২০১৯ এর সেপ্টেম্বরে তিনি দেশে ফেরেন। ফেব্রুয়ারি মাসেও একটি ইনফেকশন হয়েছিল ঋষি কাপুরের। তখনও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে নিজের ভক্তদের শারীরিক স্থিতিশীলতার কথা নিজেই জানান তিনি। তিনি সেই সময়ে দিল্লিতে ছিলেন। আর দিল্লির দূষণের জন্যই ইনফেকশন হয়েছিল।
সেই সময়ে হাসপাতাল থেকে ফিরে তিনি টুইট করেছিলেন, প্রিয় পরিবার, বন্ধুরা, শত্রুরা ও অনুরাগীরা। আমার শারীরিক অবস্থার যেমন খেয়াল রেখেছেন তাতে আমি আপ্লুত। দিল্লিতে গত ১৮ দিন শ্যুটিং করছিলাম আমি। আর দূষণ ও আমার কম মাত্রার নিউট্রোফিলসের জেরে আমার একটা ইনফেকশন হয়েছিল। হাসপাতালে ছিলাম।
২০১৮-য় ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঋষি কাপুর। সেই বছরই সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক যান তিনি। ফেরেন আবার ২০১৯ এর সেপ্টেম্বরে। এই এক বছরের লড়াইয়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী নীতু কাপুর। তাঁর অসুস্থতার খবরে ভক্তরাও আরোগ্য কামনা করেছিলেন।
Be the first to comment