রাজস্থানে জমি কেলেঙ্কারির মামলায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট ভডরা কয়েকদিন আগেই ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট। তারপর রবার্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক কারণেই তাঁকে নিয়মিত আক্রমণ করা হয়। নানা ভিত্তিহীন মামলায় জড়ানো হয়।
রবার্ট ভদ্রের কৌঁসুলিকে বুধবার এনফোর্সমেন্টের অফিসে হাজির হতে হয়েছে। আগামী শুক্রবার রাজস্থানে ভোট। কংগ্রেসের দাবি, রাজ্যে সরকারবিরোধী হাওয়া প্রবল। সেই হাওয়ায় বিজেপির পতন হবে। ক্ষমতায় আসবে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনা হয়েছে বলে রবার্টের দাবি।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, এনফোর্সমেন্ট কর্তৃপক্ষ ভালোই জানে, আমার বিরুদ্ধে মামলা করার মতো কিছু নেই। কিন্তু আমাকে নিয়ে ‘মিডিয়া সার্কাস’ করা হচ্ছে। আসলে এর উদ্দেশ্য হল, মানুষের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া। একদিন না একদিন সত্যিটা মানুষ জানতে পারবেই।
এনফোর্সমেন্টের বিরুদ্ধে রবার্টের আরও অভিযোগ, তদন্তের জন্য তাঁকে যে সব নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল, সবই তিনি দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও বলা হচ্ছে, ওই নথিগুলি ফের জমা দিন।
অল্পদিন আগে রবার্ট আরও একবার ফেসবুকে তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। গত ৩০ নভেম্বর তিনি লেখেন, সরকারের নানা ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে ভারতীয় জনতা পার্টি আমাকে নানা বিতর্কে জড়াতে চায়। সেই দিনই অভিযোগ ওঠে জালিয়াতি করে রাজস্থানের বিকানিরে জমি কিনেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী।
রবার্ট বলেন, আচমকা মিডিয়ার অনেকে আমাকে নানা প্রশ্ন করছে। রাজস্থানে ভোটের দিন এগিয়ে আসার কিছুদিন আগে আমার নামে একটা মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মজার কথা হল, এমন সব ইস্যু আমার বিরুদ্ধে তোলা হচ্ছে যা সবই বিচারাধীন। কয়েকটি কেন্দ্রীয় সংস্থা আমার বিরুদ্ধে তৎপর হয়ে উঠেছে। তারা এমন সব অভিযোগ তুলছে যার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। অথবা সেই সব অভিযোগ সম্পর্কে আমি জবাব দিয়েছি আগেই।
সরাসরি বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হল, সকলেই বুঝতে পাচ্ছে, বিজেপির কৌশল খুব মোটা দাগের এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিন্তু বিজেপি নিজে একথা বুঝতে পারছে না।
মিডিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমি আশা করি, যাঁরা নিরপেক্ষ ও পেশাদার মিডিয়া কর্মী, তাঁরা এমন সব বিষয়ে নজর দেবেন রাজস্থানের জনজীবনে যার গুরুত্ব আছে। তাঁরা ব্যাপক বেকারত্ব ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে লিখুন।
Be the first to comment