কপালই যে আসল রাজা প্রমাণ পেলেন পালপাড়ার শিক্ষক। সপরিবারে আত্মীয়র বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ রক্ষা করে ফেরার পথে ভুল করে ট্রেনে ব্যাগ ফেলেই নেমে পড়েছিলেন। ব্যাগে ছিল লক্ষাধিক টাকার গয়না। ট্রেন যখন প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে খোঁজ পড়ল ব্যাগের। ডাক ছেড়ে কান্নাটাই তখন যা বাকি।
বৃহস্পতিবার রাতে আর দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি গোটা পরিবার। কষ্টে, হতাশায়। কিন্তু রাত পোহাতেই ফোন পেলেন আরপিএফের। তারপরেরটার জন্যে তৈরি ছিলেন না তাঁরা।
ফুলিয়া শিক্ষানিকেতনের শিক্ষক আশিস দে পাল স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে গিয়েছিলেন আগরপাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়ি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে। বৃহস্পতিবার রাতে শান্তিপুর লোকাল ধরে সেখান থেকেই বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১২ টা নাগাদ ট্রেন পালপাড়া পৌঁছতেই তাড়াহুড়োয় গয়না ভর্তি ব্যাগ ফেলে রেখেই নেমে পড়েন তাঁরা।
ট্রেন যখন শেষ স্টেশন শান্তিপুরে পৌঁছায় তখন ট্রেনের কামরায় রুটিন তল্লাশি চালাতে আসে আরপিএফ কর্মীরা। তখনই ব্যাগটা তাঁদের নজরে আসে। ব্যাগে থাকা অন্য জিনিস ও কাগজপত্রের সঙ্গে বেশ কিছু সোনার গয়না দেখতে পান তাঁরা। ব্যাগ ঘেঁটে মেলে ফোন নম্বর লেখা একটি কাগজ। সেই নম্বর দেখেই শুক্রবার সকালে তাঁরা যোগাযোগ করেন আশিসবাবুর সঙ্গে। জানান ব্যাগ তাদের হেফাজতে রয়েছে।
এরপরেই শান্তিপুর গিয়ে উপযুক্ত নথি দিয়ে ব্যাগ ফেরত নেন। আশিসবাবু বলেন, “অনেক সোনার গয়না ছিলো ব্যাগে। ফেরত পাওয়ার আশা করিনি একেবারেই। আরপিএফ কর্মীদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।”
আজ সকালে আগরপাড়া নীলগঞ্জ রোডের উপরে একটি ওষুধের দোকানে চুরি হয় | ওষুধের দোকানের নাম মডার্ন মেডিকেল হল মালিকের নাম স্বপন কুমার দাস আনুমানিক চুরির নগদ টাকা 35 হাজার টাকা।
ঘটনাস্থলে খরদা থানার পুলিশ আসে এবং চুরির তদন্ত চুরি করে দোকানটি দীর্ঘ 40 বছরের এই ধরনের চুরির ঘটনা এই প্রথম ঘটে দীর্ঘ এক মাস যাবত এই অঞ্চলে পরপর চুরির ঘটনা ঘটে কিন্তু পুলিশ প্রশাসন উদাসীন এইরকম একটি জনবহুল জায়গায় এই ধরনের ওষুধের দোকানে চুরির ঘটনা এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
Be the first to comment