বিজেপিতে যোগ দিয়ে কংগ্রেস নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন আরপিএন সিং। উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কংগ্রেস শিবিরে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে গেরুয়া শিবিরে পা রাখলেন রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ এই নেতা। বিজেপি তাঁকে নির্বাচনে টিকিট দিতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন তিনি। এরপরই আরপিএন সিং বলেন, ‘কংগ্রেস দলটা যেমন ছিল, তেমনটা আর নেই।’
মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আরপিএন সিং বলেন, ‘আমি ৩২ বছর ধরে কংগ্রেসে কাজ করেছি। কিন্তু আজ আমি বলতে চাই, সেই কংগ্রেস আর নেই। দল অনেক বদলে গিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ প্রত্যেকেই জানে, একটাই দল মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করছে, দেশের স্বার্থে কাজ করছে, সেটা হল বিজেপি।’ তিনি জানান, পূর্বাঞ্চলে বিজেপির নেতৃত্বে কতটা উন্নয়ন হয়েছে, তা প্রত্যেকেই দেখতে পাচ্ছেন।
এ দিন আরপিএন সিং বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় বিজেপির সদর দফতরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন, ‘একাধিকবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি বলেছিলাম, আপনার মতো একজন নেতার উচিৎ মোদীজির সঙ্গে যোগ দেওয়া। অবশেষে মোদীর নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি।’
আরপিএন সিং বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই বার্তা দেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেন, ‘যে লড়াইটা কংগ্রেস লড়ছে, সেটা শুধুমাত্র সাহস দিয়েই লড়া সম্ভব। এর জন্য সাহস, উদ্যমের প্রয়োজন হয়। ভীতু মানুষেরা লড়তে পারবেন না।’
উত্তর প্রদেশের কুশীনগরের রাজপুত পরিবারের সন্তান তিনি। পাদরাউনা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন তিনি। পরে সাংসদ হন। শুধু আরপিএন সিং নন, তাঁর বাবাও কংগ্রেসের বিশিষ্ট নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর বাবা সিপিএন সিং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আরপিএন সিং-ও সোনিয়া গান্ধীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।
আরপিএন সিং-এর পরিবার কুশীনগরে বেশ প্রভাবশালী বলেই পরিচিত। এ ছাড়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো আরপিএন সিং-ও রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত। শুধু তাই নয়, ভোটের আগে যে তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস, তাতেও নাম ছিল আরপিএন সিং-এর। তাই তাঁর দলবদল গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment