
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- নয়াদিল্লির ছায়া এবার আসানসোল স্টেশনে। মহাকুম্ভের ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি। আসানসোল স্টেশনে চরম বিশৃঙ্খলা। যদিও পদপিষ্টের কোনো খবর নেই। কিন্তু, ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেলো রেলপুলিশ। করা হল বারবার মাইকিং।
রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোল-মুম্বই এক্সপ্রেস ট্রেন ধরতে আসানসোল স্টেশনে ভিড় জমান হাজার হাজার মানুষ। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেয় ওই ভিড়। কুম্ভযাত্রীদের হুড়োহুড়ি দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, নয়াদিল্লি স্টেশনের মতোই পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আসানসোলে। কিন্তু সেই বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে প্রস্তুত ছিল রেল পুলিশ।
দিল্লির মতো পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য আগে থেকেই সতর্ক ছিল রেল। সেইমতো বিশেষ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল। রেল সূত্রে খবর, সকালেই আসানসোল স্টেশন পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন পূর্ব রেলের ডিআরএম চেতনা নন্দ সিংহ। তাঁর নির্দেশমতোই স্টেশনের বাইরে অস্থায়ী ক্যাম্প করে যাত্রীদের রাখা হয়েছিল। পার্সেল অফিসের পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা করে দেওয়া হয়েছিল কুম্ভযাত্রীদের জন্য, যাতে তাঁরা নির্বিঘ্নেই আসানসোল-মুম্বই ট্রেন ধরতে পারেন। কিন্তু এত ব্যবস্থার পরেও সেই উদ্বেগের ছবিই ধরা পড়ল স্টেশনে। যদিও বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে নি।
প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভে যাওয়ার উদ্দেশে শনিবার রাতে শয়ে শয়ে মানুষ জড়ো হন নয়াদিল্লি স্টেশনে। আসলে নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন হয় সরাসরি কুম্ভে যাওয়ার কথা, নয়তো কুম্ভ হয়ে অন্য গন্তব্যে যাওয়ার কথা। সেই ট্রেনগুলির আশায় দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয় সূত্রের দাবি, স্বতন্ত্রতা সেনানী এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর-রাজধানী এক্সপ্রেস এই দুটি ট্রেনে প্রয়াগরাজ যাবেন বলে বহু মানুষ ১২ এবং ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু দুটি ট্রেনের কোনওটিই সময়মতো পৌছয়নি।
তার মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ট্রেনদুটি বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে কুম্ভের জন্য স্পেশাল ট্রেন প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ঢুকে পড়ে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস আসতে দেখে ওই ট্রেনের যাত্রীরা তো বটেই বাকি দুটি ট্রেনের যাত্রীরাও হু হু করে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে ছুটতে থাকেন। সকলে একসঙ্গে ওই ট্রেনটিতে ওঠার চেষ্টা করলে অনেকে পড়ে যান। পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের প্রাণহানি হয়।
Be the first to comment