বৃহস্পতিবারই কবিতা লিখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের নজরদারি নিয়ে লেখা সেই কবিতার নাম দিয়েছেন, “উঁকি Online”! এ বার অনলাইন নয়, একেবারে বেডরুমে উঁকি মারার অভিযোগ তুললেন বাম বুদ্ধিজীবী তথা সমাজকর্মী গৌতম নাভালকার মহিলা সঙ্গী সাবা হুসেইন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গৃহবন্দী থাকতে হবে ধৃত পাঁচ বাম বুদ্ধিজীবী তথা সমাজকর্মীকে। এর মধ্যেই পুলিশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নজরদারির অভিযোগ আনলেন নাভালকার মহিলা সঙ্গী সাবা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সাবা অভিযোগ করেন, দিল্লির নেহেরু এনক্লেভে তাঁদের ঘরের বাইরেই মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। পুলিশের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাতে ঘুমোতে হবে বেডরুমের দরজা খুলে।
দীর্ঘদিন ধরে নাভালকার সঙ্গে থাকেন সাবা। তাঁর অভিযোগ, এমনিতেই আদালতের নির্দেশে আত্মীয়, বন্ধু কেউই বাড়িতে আসতে পারছেন না। তাঁরা দু’জনই রয়েছেন ফ্ল্যাটে। এরপরেও পুলিশের এমন আচরণকে রাষ্ট্রের অতিরিক্ত নজরদারি হিসেবেই দেখছেন তিনি।
পিটিআই-কে নাভালকার সঙ্গী বলেন, “পুলিশ চার্জ প্রমাণে মরিয়া। কিন্তু আমরা জানি তদন্তে কিচ্ছু বেরোবে না।” গত ২৮ অগস্ট বিভিন্ন জায়গা থেকে ধরপাকড় করা হয় পাঁচ বাম বুদ্ধিজীবী তথা সমাজকর্মীকে। এর মধ্যে রয়েছেন কবি তথা মাও তত্ত্ববিদ ভারভারা রাও-ও। এই গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ তোলেন, যাঁরাই বিজেপি বা আরএসএস-এর বিরোধীতা করছেন তাঁদেরই হয় মাওবাদী না হয় দেশদ্রোহী বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে।
Be the first to comment