তৃণমূলে ফিরলেন সব্যসাচী দত্ত

Spread the love

কয়েকদিন ধরে বেসুরো ঠেকছিল তাঁর সুর। অবশেষে ঘরওয়াপসি সব্যসাচী দত্তের। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন সব্যসাচী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথের দিনই পুরনো দলে ফিরলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র। দুর্গাপুজো থেকে লখিমপুর খেরি নিয়ে তাঁর সাম্প্রতিক বক্তব্যে বিজেপি বিরোধী সুরই ধরা পড়ছিল। এদিন সংবাদমাধ্যমকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ গ্রহণের আগে নিজেই জানিয়ে দেন, “আমি আজই ওকে নিয়ে নিতে বলেছি।” আর এরপরই বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও ফিরহাদ হাকিমের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা তুলে নিলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ এই নেতা।

প্রসঙ্গত, এদিনের দলবদল কর্মসূচিতে খুব কম কথা বলেছেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র ৷ যেটুকু বলেছেন, তার সারমর্ম হল, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত একুশ পর্যন্ত তিনি যে বিধায়ক পদে থাকতে পেরেছেন, তার প্রধান কারণই হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু, মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল বলেই আবেগের বশবর্তী হয়ে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো-সহ সকলে তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়ায় তিনি আপ্লুত৷ আবারও নতুন করে তাঁর পথ চলা শুরু হবে বলে জানান সব্যসাচী ৷

সূত্রের খবর, এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কের পদে শপথগ্রহণের কিছুক্ষণ পরই তাঁর ঘরে দেখা যায় সব্যসাচী দত্তকে। যে সময় মুখ্য়মন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলছিল, তখনই খবর পাওয়া যায় যে সব্যসাচী বিধানসভায় এসেছেন। কিন্তু তাঁকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বসে ছিলেন সবস্যাচী। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে তাঁকে দেখতে পেয়ে মারাত্মক উষ্মাপ্রকাশ করেন সব্য়সাচী বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। যার মধ্যে সুজিত বসু, তাপস রায়রা ছিলেন বলে খবর। তার পরই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় যে আজই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন সব্যসাচী দত্ত।

সব্যসাচীর সেই ‘প্রত্যাবর্তন’ নিয়ে টিপ্পনি করতে ছাড়েননি রাজনৈতিক মহলের। তাঁদের বক্তব্য, দুর্গাপুজোয় তো পদ্মফুল লাগে। কিন্তু পুজো শুরুর আগেই কিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সব্যসাচীর ‘পদ্ম’ প্রেমে ইতি পড়ে গেল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*