সুপ্রিম কোর্টে জয় শচীন পাইলটের, আর্জি খারিজ স্পিকারের

Spread the love

রাজস্থানে ১৯ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে ডিসকোয়ালিফিকেশন নোটিস নিয়ে রায় দেবে রাজস্থান হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে বাধা দেবে না হাইকোর্টকে। গত সপ্তাহে স্পিকার সি পি যোশি বিদ্রোহী বিধায়কদের ডিসকোয়ালিফিকেশনের নোটিস জারি করেন। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহীরা যান হাইকোর্টে। হাইকোর্ট যাতে স্পিকারের কাজে হস্তক্ষেপ না করে সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন স্পিকার।

কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, রাজস্থান হাইকোর্ট ডিসকোয়ালিফিকেশন নোটিস নিয়ে রায় দিতে পারে। রাজস্থানে রাজনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি এ কে মিশ্র বলেন, “ধরা যাক কোনও নেতা কয়েকজনের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁদের কি ডিসকোয়ালিফাই করা যায়? তাহলে তো কেউ প্রতিবাদ করতেই সাহস পাবে না। গণতন্ত্রে এভাবে কাউকে প্রতিবাদ জানাতে বাধা দেওয়া যায় না।

স্পিকারের হয়ে এদিন শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, কয়েকজন বিধায়ক পরপর দু’বার দলের ডাকা মিটিং-এ অনুপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর তাঁদের ডিসকোয়ালিফিকেশনের নোটিস দেওয়ার পূর্ণ অধিকার আছে স্পিকারের। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট কাউকে বাঁচানোর জন্য কোনও নির্দেশ দিতে পারে না। স্পিকার যখন কোনও ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন, কোর্ট তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

বিচারপতি বলেন, বিধায়কদের জনগণ নির্বাচিত করেছেন। তাঁরা কি ক্ষোভের কথা জানাতে পারেন না?” কপিল সিব্বল বলেন, “তাঁদের ব্যাপারে স্পিকারই সিদ্ধান্ত নেবেন। কোর্ট এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট দু’বার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকেন। সেখানে বিদ্রোহী নেতা শচীন পাইলট সহ ১৯ জন বিধায়ক উপস্থিত হননি। এরপরে স্পিকার নোটিস দিয়ে জানতে চান, তাঁদের ডিসকোয়ালিফাই করা হবে না কেন? বিদ্রোহীরা বলেন, তাঁরা কংগ্রেস ত্যাগ করেননি। তাঁরা চান, দলের নেতৃত্ব বদলানো হোক। কপিল সিব্বল অবশ্য এদিন সুপ্রিম কোর্টে বলেন, বিদ্রোহীরা যেভাবে পরিষদীয় দলের বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন, তা দলত্যাগ করারই সামিল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*