সচিন পাইলট-সহ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের বিরুদ্ধে করা পিটিশন সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রত্যাহার করে নিলেন রাজস্থানের অধ্যক্ষ সিপি যোশি। এ দিন অশোক গেহলট সরকারের বিধানসভার অধিবেশন ডাকার আর্জি মরুরাজ্যের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র দ্বিতীয়বার ফিরিয়ে দেওয়ার পরই পিটিশন প্রত্যাহার করে নেন স্পিকার।
সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিআর গাভাই ও কৃষ্ণ মুরারীর বেঞ্চের কাছে স্পিকারের পিটিশনের প্রস্তাব প্রত্যাহারের অনুমোদন দেওয়ার আর্জি জানান শীর্ষ আইনজীবী কপিল সিবাল ও আইনজীবী সুনীল ফার্নান্ডেজ।
সোমবার মরু রাজ্যের লড়াই ছিল শীর্ষ আদালতে। স্পিকারের ক্ষমতার প্রশ্নে সোমবার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলার রায়ের উপর অনেকাংশে নির্ভর করছিল রাজস্থানের ভাগ্য। তবে এর মধ্যেই রাজস্থানের সঙ্কট নিয়ে কংগ্রেস শিবির দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে খবর মেলে। কংগ্রেসের একাংশের মত, কোর্ট থেকে মামলা প্রত্যাহার করে রাজনৈতিক ভাবে রাজস্থান সঙ্কটের মোকাবিলা করা হোক। আর অন্য পক্ষ আদালতের উপরই ভরসা রাখার পক্ষপাতী।
এই অবস্থায় রাজনীতিক মহলের নজর যখন আদালতের দিকে ছিল, তখন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের ঠান্ডা লড়াইও জারি ঠিল। শনিবার রাতেই রাজ্যপালকে পরিবর্তিত প্রস্তাবপত্র পাঠায় গেহলত শিবির। সেই প্রস্তাব পত্রে ৩১ জুলাই রাজস্থানের বিধানসভা অধিবেশন ডাকার আবেদন থাকলেও কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল করোনা পরিস্থিতির কথা, আস্থাভোটের উল্লেখ মাত্র ছিল না তাতে!
তাঁর কাছে ১০২ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দাবি নিয়ে একাধিকবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন গেহলট। কিন্তু রাজ্যপাল বিধানসভা অধিবেশনে সম্মতি না দেওয়ায় শুক্রবার রাজভবনেই ধর্নায় বসে যান গেহলতের অনুগামী বিধায়করা।
রাজ্যপাল জানান, গেহলতের দেওয়া প্রস্তাবপত্রে বেশ কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে। ছ’টি বিষয়ে স্পষ্ট জবাব দিয়ে ফের প্রস্তাবপত্র জমা দিক গেহলত শিবির। রাজ্যপালের বক্তব্য ছিল, তিনি সংবিধান মেনেই কাজ করবেন, তবে কোনও পক্ষের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। এর পরই শনিবার রাতে নতুন প্রস্তাব জমা দেন গেহলত। যদিও এ বিষয়ে আরও সবিস্তার তথ্যের প্রয়োজন বলে জানিয়ে, দ্বিতীয়বারও প্রস্তাবপত্র ফিরিয়ে দেন রাজ্যপাল।
এদিকে, বিএসপি আবার তাদের রাজস্থানের ছ’জন বিধায়কের উদ্দেশে হুইপ জারি করেছে, বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এলে তাঁরা যেন কংগ্রেসের বিপক্ষে ভোট দেন। হুইপ না মানলে বহিষ্কার হতে পারে।
Be the first to comment