গরুপাচার মামলার তদন্তে সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে নিম্ন আদালতে ইডির আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি। নিম্ন আদালতে ইডি আবেদন জানিয়েছিল, এর আগে সায়গল হোসেনকে যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল, তারপর আরও একটি মামলায় সায়গলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই কারণে সায়গলকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছিল ইডি। কারণ হিসেবে ইডি আদালতে জানিয়েছিল, জেরার সময় তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সায়গল।
কিন্তু নিম্ন আদালতের বিচারক জানিয়েছিলেন, বিষয়টি তাঁর এক্তিয়ারভুক্ত নয়। সেক্ষেত্রে সায়গল হোসেন এখন কার হেফাজতে থাকবে, সেই নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাদের যুক্তি, তদন্তে কোনওরকম সহযোগিতা করছে না সায়গল হোসেন এবং সেই কারণে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিষয়টি যত দ্রুত সম্ভব করার চেষ্টা করছে ইডি। তবে হাইকোর্টে এখন ভ্যাকেশন বেঞ্চ রয়েছে, তাই একটি স্পেশাল বেঞ্চের আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও সেই স্পেশাল বেঞ্চ কখন হবে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। এখনও পর্যন্ত যা খবর, আজই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই আদালতের অনুমতিক্রমে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে ইডির আধিকারিকরা জেরা করেছিলেন সায়গল হোসেনকে। আসানসোলের সংশোধনাগারে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সায়গলকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বক্তব্য, সায়গল তদন্তে কোনওরকম সহযোগিতা করছে না। এরপরই ইডির আধিকারিকরা সায়গলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আসানসোল আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আবেদন গ্রাহ্য হয় না আদালতে। এবার সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এখন দেখার হাইকোর্ট সায়গল হোসেনের হেফাজত প্রসঙ্গে কোন দিকনির্দেশ করে।
Be the first to comment