দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে ৮৪’র শিখ বিরোধী দাঙ্গায় যাবজ্জীবন দোষী সাব্যস্ত কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন সজ্জন। সেই আর্জি গৃহিত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। গত বছর দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের পর এই আবেদনটি আটকে ছিল।
১৯৮৪’র ৩১ অক্টোবর। শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে মৃত্যু হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর। তার পর দেশ জুড়ে শিখ বিরোধী জনরোষ তৈরি হয়েছিল। আক্রান্ত হন দিল্লি সহ দেশের বিভিন্নপ্রান্তের শিখ পাঞ্জাবিরা। সেই দাঙ্গায় দু’হাজারেরও বেশি শিখকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। শিখদের বিরুদ্ধে এই দাঙ্গাতেই অভিযুক্ত ছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার।
দাঙ্গা ও ৫ জন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যার জন্য সিবিআই কুমারকে অভিযুক্ত করে। তবে, ২০১৩ সালে নিম্ন আদালত সজ্জন কুমারকে নিরাপরাধ বলে রায় দেয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্ট তাঁকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হিংসা ছড়ানো, এবং জনগণের সম্পত্তি বিনষ্ট করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয়। সেবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। পাশাপাশি তাঁকে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করে আদালত।
গত বছর ৩১ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার। ১৯৮৪-র শিখ বিরোধী দাঙ্গায় শাস্তিপ্রাপ্ত এই নেতা দিল্লির কারকারডুমা আদালতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অদিতি গর্গের সামনে আত্মসমর্পণ করেন। ওই দিনই অন্য দুই সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিধায়ক কিষাণ খোখর এবং মহেন্দ্র যাদবও আত্মসমর্পণ করেন।
Be the first to comment