বাস-বিভ্রাট নাকি কর্তব্যে গাফিলতি? অবশেষে উৎকণ্ঠা কাটিয়ে খোঁজ মিললো শিক্ষা নিকেতন স্কুল পড়ুয়াদের

Spread the love

কয়েক ঘণ্টার চরম উৎকণ্ঠার শেষে অবশেষে স্বস্তি। খোঁজ মিলল মহিষবাথানে সল্টলেক শিক্ষা নিকেতন স্কুলের নিখোঁজ পড়ুয়াদের। মাঝে গোটা সময়টা কোনও তথ্য না জানানোর পর পড়ুয়ারা তাদের বাড়ি ফিরেছে বলে জানানো হয়েছে স্কুলের তরফে। মাঝে যাবতীয় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণ হিসেবে জানানো হল বাস-বিভ্রাট!

স্কুলের পড়ুয়ারা তাদের নির্দিষ্ট বাসে না ওঠে অন্য বাসে উঠে পড়েছিল। আর তার জেরেই তৈরি হয়েছিল যাবতীয় সমস্যা। বাচ্চারা কোন বাসে যাওয়া-আসা করে, সেটা বলতে না পারাতেই বিভ্রান্তি বলে বক্তব্য স্কুল কর্তৃপক্ষের। আর বাস চালকদের ফোন বন্ধ থাকার কারণ হিসেবে স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত অভিভাবকরা একসঙ্গে ফোন করার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাস চালকদের ফোন।

স্কুলে আসা থেকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত পড়ুয়াদের নিরাপত্তা থেকে সমস্ত দিক দেখা স্কুলের কর্তব্য। তাহলে এভাবে স্কুল থেকে বেরিয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য কীভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল পড়ুয়ারা? পাশাপাশি কীভাবে বাস চালকদের ফোন এভাবে পরিষেবা সীমার বাইরে ছিল, সেই নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। স্কুলের বক্তব্য, স্কুলের বাচ্চাদের যাওয়া-আসার জন্য অন্য সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে।

অভিযোগ, ছুটির পর ৩টি বাসে করে স্কুল থেকে বেরোয় পড়ুয়ারা। অভিভাবকদের দাবি বাচ্চারা সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে বাড়ি পৌঁছে যায়। তা না হওয়ায় অভিভাবকরা স্কুলে খোঁজ নেন। তখন জানানো হয় বাস বেরিয়ে গেছে স্কুল ছেড়ে। এরপর স্কুল বাস চালকদের ফোন করা হলে তাদের প্রত্যেকের ফোন স্যুইচড অফ পাওয়া যায়। বাড়ি ফেরেনি কোনও পড়ুয়া এমনটাই দাবি অভিভাবকদের। এরপর স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে অভিভাবকরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে চরম উৎকণ্টার পরিস্থিতির পর স্কুলের তরফে জানানো হয় বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে বাচ্চারা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*