রাওয়ালপিন্ডিতে নিজের ঘরেই আততায়ীর হাতে খুন হলেন মৌলানা সামিউল হক। যাকে বলা হয়ে থাকে পাকিস্তানে মৌলবাদের জন্মদাতা। আবার অনেকেই বলেন ‘ফাদার অফ তালিবান’। ক্ষতিবিক্ষত অবস্থায় অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন নিরাপত্তাকর্মীরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘষণা করা হয়।
এদিকে মৌলবাদী নেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েতেই উত্তেজনা ছড়ায় ইসলামবাদ, রাওয়ালিন্ডি, খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। রাস্তায় নেমে তাণ্ডব চালায় তার কট্টরবাদী সমর্থকরা। সেই পরিস্থিতিতে আরও ঘৃতাহুতি পড়ে যখন দেখা যায় এক সন্ত্রাসবাদী নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি। যা সাধারণত বিরল ঘটনা। সামিউল হকের ছেলে হামিদুল হক জানান, বাড়িতে সবসময় একজন নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন থাকত। কিন্তু খুনের সময় ওই কর্মী সেখানে ছিলেন না। যদিও হামিদুল হক অনুগামীদের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনুরোধ করেন। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছেই। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় আগুনি লাগিয়ে ভাঙচুর চালাচ্ছে উগ্রবাদী সমর্থকরা। ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতেই অশান্তির খবর মিলেছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই সামিউল হক পাকিস্তানে ধর্মীয় উগ্রবাদের প্রচার করে আসছেন। জামাত-উলেমা-ই-ইসলাম নামের একটি মৌলবাদী সংগঠনেরও প্রতিষ্ঠতা। তার দীক্ষিত প্রচুর অনুগামী পরবর্তীকালে কট্টর জেহাদি নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
Be the first to comment