এবার সবার তোপের মুখে কোচ সাম্পাওলি। প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র, পরের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হার। এই দুই ম্যাচের পরেই বোঝা যাচ্ছিল, কোচ হোর্হে সাম্পাওলির আর্জেন্টিনাকে জেতানোর মতো মানসিকতাই নেই। খবর রটেছিল, কোচের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছে মেসিদের, কোচের কথা আর শুনছেন না তাঁরা। কী কী ভুল ছিল সাম্পাওলির, কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে তা নিয়েও। যেমন বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত মূল দলে ছিলেন ম্যানুয়েল লানজিনি। পরে চোটের জন্য বাদ পড়েন তিনি। তাঁর জায়গায় দলে আসেন মিডফিল্ডার এনজো পেরেজ। এই এনজো পেরেজকেই প্রতিটা ম্যাচেই খেলিয়ে গেছেন সাম্পাওলি। এনজো পেরেজের ওপর এত নির্ভর করতে হলে প্রথমেই কেন তাঁকে স্কোয়াডে রাখেননি সাম্পাওলি? দ্বিতীয়ত, বিশ্বকাপের আগে প্রতিটি প্রস্তুতি ম্যাচ ও বাছাইপর্বের বেশ কয়েকটা ম্যাচেই খেলানো হয়েছিল মিডফিল্ডার জিওভান্নি লো সেলসোকে। মনে করা হচ্ছিল, বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার মূল একাদশের অবিচ্ছেদ্য অংশই হয়তো হতে যাচ্ছেন সেলসো। অথচ সেই মিডফিল্ডারই বিশ্বকাপ শুরুর পর একটা ম্যাচেও দলে জায়গা পেলেন না। কেন?
তবে সবথেকে বড় অভিযোগ, চারটা ম্যাচের প্রতিটিতে মেসিকে চারটা পজিশনে খেলিয়েছেন সাম্পাওলি। পুরো টুর্নামেন্টেই এ রকম মেসিকে নিয়ে হতোদ্যম অবস্থায় ছিলেন তিনি। কীভাবে খেলালে মেসিকে সবথেকে ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়, তা বুঝেই উঠতে পারেননি সাম্পাওলি। শনিবার একজন গোলরক্ষক, চারজন ডিফেন্ডার আর একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার—এই ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের বয়সই ত্রিশের ওপরে। এই রক্ষণভাগকে বলা হয়েছিল ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে, আঁতোয়ান গ্রিজমানের মতো দ্রুতগতির স্ট্রাইকারদের সামলাতে। এমবাপ্পেকে সামলানোর মতো গতি কি তাঁদের আছে? কোনও একটা নির্দিষ্ট স্টাইল বা দর্শনে দলকে খেলাতে পারেননি সাম্পাওলি।
Be the first to comment