মার্কিন মুলুকে সবচেয়ে ‘খতরনাক’ খুনীর আখ্যা দেওয়া হচ্ছে একে। গুনে গুনে নাকি ৯০টি খুন করেছে এই ব্যক্তি। মাদকের কারবারেও তার বেশ রমরমা পসার। বয়স ৭৮ বছর। তবে দু’চোখে এখনও খুনীর ঠাণ্ডা দৃষ্টি। দীর্ঘদেহী প্রাক্তন বক্সার স্যামুয়েল ম্যাকডাওয়েল এই মুহূর্তে মার্কিন মুলুকে অন্যতম আলোচ্য বিষয়।
এফবিআই সূত্রে খবর, টেক্সাসের একটি জেলে আপাতত বন্দি স্যামুয়েল। তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। জেরায় স্যামুয়েল জানিয়েছে, ১৯৭০ সাল থেকে সে শুরু করেছে হত্যালীলা। ‘৮৭-১৯৮৯ সালের মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলসে তিন জন মহিলা তার শিকারে পরিণত হয়। প্রত্যেককেই মারধরের পর শ্বাসরোধ করে খুন করে সে।
স্যামুয়েলের পরবর্তী নিশানা ছিল ডেনিস ক্রিস্টি ব্রাদার্স। সালটা ১৯৯৪। এফবিআইয়ের এক তদন্তকারী অফিসার ক্রিস্টিয়ানা পালাজোর কথায়, ১৯৭০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আমেরিকার নানা জায়গায় হত্যার তাণ্ডব চালিয়েছে স্যামুয়েল। ৯০ জনের মধ্যে ৩৪ জনকে সনাক্ত করেছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। বাকিদের নাম হত্যাকারী নিজেই জানাতে পারেনি।
মাদক পাচারের সঙ্গেও নাম জড়িয়েছে স্যাময়েলের। ২০১২ সালে কেন্টাকি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। তবে প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যায় সে। পরে, আশ্রয় নেয় এক শরণার্থী শিবিরে। তদন্তকারীদের কথায়, একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল স্যামুয়েল। তার নিশানা ছিল মূলত মাদকাসক্ত এবং যৌনকর্মীরা। বেছে বেছে তাদেরকেই খুন করত স্যামুয়েল। তবে কী কারণে এই খুন, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
স্যামুয়েলকে যাবজ্জীবন কারাবাস দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীদের কথায়, সে বিকৃত মানসিকতার শিকার। মিসিসিপি ও ফ্লোরিডাতে ১৯৮০ সালে একাধিক মহিলা যৌনকর্মীকে খুন করেছিল সে। খুনের পর সেই দেহগুলো গোপনও করে রেখেছিল সুকৌশলে। শুধু মহিলা নয়, নানা সময় পুরুষরাও তার আক্রোশের শিকার হয়েছে। খুনের ধরনেও ছিল বৈচিত্র্য। সব ক্ষেত্রে একই পন্থা অনুসরণ করতে না স্যামুয়েল।
পুলিশ জানিয়েছে, মনবিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে স্যামুয়েলের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেরায় সে দাবি করেছে আরও অনেক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে নাকি সে জড়িত ছিল। সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
Be the first to comment