সন্দেশখালি মামলায় SIT বিশেষ তদন্তকারী টিম গঠনের উপর স্থগিতাদেশ। সিঙ্গল বেঞ্চের SIT গঠনের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। SIT তদন্তের উপরেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশ যে যে মামলা রুজু করছে, সেগুলির উপরেও আপাতত অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিনের শুনানির সময়ে ইডি-র আইনজীবী এস ভি রাজু সওয়াল করেন, “খুব সিরিয়াস একটি বিষয়। রাজ্য এক্ষেত্রে তদন্ত করলে পক্ষপাতদুষ্ট হবে।” তিনি আদালতে জানান, সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল রাজ্য তদন্তে অসন্তুষ্ট। তাও রাজ্য পুলিশকে রাখা হয়। একজন মন্ত্রী জড়িত, সেখানে রাজ্য পুলিশ কীভাবে তদন্ত করতে পারে? তাঁর কথায়, “জয়েন্ট টিম এর পারপাস ক্লিয়ার করতে পারবে না।” সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি।
SIT যে তদন্ত করছিল, তাতে প্রথম থেকেই সন্তুষ্ট ছিল না ইডি। তাদের বক্তব্য ছিল, রাজ্য পুলিশ যে মামলার তদন্ত করছে, সেই তদন্ত কীভাবে পক্ষপাতহীন হবে? কারণ যাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তিনিই রাজ্য সরকারের একজন মন্ত্রী। তাহলে কীভাবে রাজ্য সরকারের পুলিশ তদন্ত করবে? ইডি দৃষ্টি আকর্ষণ করে, এর আগেও এই মামলা যখন সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারাধীন ছিল, তখন বারবার এ প্রশ্ন উঠে এসেছে, মূল অভিযুক্ত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তবুও তাঁকে কেন গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ। এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহান অধরা।
এদিনের শুনানিতে ইডি-র বক্তব্যের পর প্রধান বিচারপতি আর কারোর বক্তব্য শুনতে চাননি। তিনি সরাসরি SIT এর তদন্তের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন। একইভাবে রাজ্য সরকারের পুলিশ যে কটি তদন্ত করছিল, সব কটির ওপরই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি তদন্তে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু প্রথম দিনের অভিযানে বেনজির ঘটনা ঘটে। শাহাজাহানের বাড়ির দরজার তালা ভাঙার সময়ে হাজার হাজার গ্রামবাসী ইডি আধিকারিকদের ঘিরে ধরেন। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে মারধর করেন। ২ ইডি আধিকারিকের মাথা ফেটে যায়। কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। তারপর ইডি-র তরফে এফআইআর করা হয়। মঙ্গলবারই এই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানায় ইডি।
Be the first to comment