সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে এভাবে পদ্মশ্রী সম্মান দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে অপমান করেছে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় পদ্মশ্রী প্রত্যাখান করার পর কেন্দ্রকে এভাবেই আক্রমণ করে রাজ্যের শাসকদল ৷ সেই একই সুরই শোনা গেল তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, কবীর সুমনেদের গলায়। তাঁদের দাবি, পদ্মশ্রী নয়, গীতশ্রীকে ভারতরত্ন দেওয়া উচিত ছিল কেন্দ্রের।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী সম্মান দিয়ে তাঁকে অপমান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁকে ভারতরত্ন দেওয়া উচিত ছিল ৷ এনিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীরা ৷ এদিন তাঁরা একটি সাংবাদিক সম্মেলন করলেন ৷ উপস্থিত ছিলেন শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, কবীর সুমন, আবুল বাশার, সুদেষ্ণা রায়, অনন্যা চক্রবর্তী। তাঁরা বলেন, “দুর্ভাগ্য যে এই বয়সে সামান্য একটা পদ্মশ্রী সম্মান দিয়ে তাঁকে প্রহসন করা হচ্ছে। এটা শুধু সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে অপমান নয়, আমাদের সবার অপমান। বাংলার অপমান। আমরা ছোটবেলা থেকে তাঁর গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর অস্তিত্ব একটা ইতিহাস। লতা মঙ্গেসকর যদি ভারতরত্ন পেতে পারেন, তাহলে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ভারতরত্ন দেওয়া হবে না কেন? তাঁদের বক্তব্য, একটা মানুষকে ৯০ বছর বয়সে অপমানিত হতে হচ্ছে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে বিদ্বেষমূলক আচরণস্বরূপ পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছে। লতা মঙ্গেশকরের মত তাঁকেও ভারতরত্ন দেওয়া হলে খুশি হতাম।
একইভাবে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁকে এই বয়সে পদ্মশ্রী দেওয়া আদপে তাঁকে অসম্মান করা। তাঁর আরও বড় প্রাপ্য ছিল, যা তাঁকে দেওয়া হয়নি ৷ তবে রাজ্য সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মান ইতিমধ্যেই দিয়েছেন।
Be the first to comment