ওমিক্রনমুক্ত ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

করোনা আক্রান্ত হয়ে ভেঙে পড়েছিল সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের শরীর। মারণভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সুরলোকে পাড়ি দিলেন সুরসম্রাজ্ঞী। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন সঙ্গীতের আরেক কিংবদন্তি গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে বাড়ছিল উদ্বেগ। এমন পরিস্থিতিতে ‘গীতশ্রী’র শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

রবিবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, “সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ওমিক্রন হয়েছিল। এখন ওমিক্রন মুক্ত তিনি। শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে সংকট এখনও কাটেনি।” সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হওয়ার পর থেকে নিয়মিত তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলতেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। সেই নিরিখে এদিন মমতা জানান, “গতকাল রিপোর্ট দেখেছি। তাতে স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি। করোনা কাটিয়ে উঠেছেন এটাই মানসিক শান্তি।” স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই খবর পেয়ে আশ্বস্ত ‘গীতশ্রী’র অনুরাগীরা। 

উল্লেখ্য, গত মাসের ২৭ তারিখ অসুস্থ গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ভরতি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। বার্ধক্যজনিত কারণেই এদিন সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। গ্রিন করিডর করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। জানা যায়, ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাঁর। আগের রাতে বাথরুমে পড়েও যান তিনি। সেদিনই শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে শিল্পীকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেও বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।

সঙ্গীতশিল্পীকে এসএসকেএমের উডবার্নে ভরতি করা হয়। তৈরি হয় বিশেষ মেডিক্যাল টিম। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রের পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যানের পর মানসিক ভাবে একটু ভেঙে পড়েছিলেন শিল্পী। কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা মুখোপ্যাধ্যায়কে  ফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিংবদন্তি শিল্পী ইদানীং খুব অসুস্থ। দিনচারেক আগেও টয়লেটে পড়ে গিয়েছিলেন। সামান্য সর্দিকাশিও হয়েছে। সব মিলিয়ে এই নব্বই বছরে শরীর নিয়ে এত জেরবার যে ফোন ধরছেন  না। তবু দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের  জরুরি ফোন বলায়  কোনও রকমে ধরেন। পদ্ম সম্মানের কথা জানানোর পর তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*