স্যানিটারি ন্যাপকিনে নিজেদের দাবি-দাওয়া লিখে প্রধানমন্ত্রীকে জমা দিতে চলেছে গোয়ালিয়রের একদল পড়ুয়া। মঙ্গলবার এই নিয়েই প্রচার শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। স্যানিটারি ন্যাপকিন বিলাসবহুল দ্রব্যের মধ্যে পড়ে না। তাই তার উপর থেকে অবিলম্বে জিএসটি তুলে নেওয়া হোক। শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের দাবি, বিনামূল্যে দেওয়া হোক স্যানিটারি ন্যাপকিন।
প্রসঙ্গত, ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে প্রচার অভিযান। সোশাল মিডিয়ার ডাকে সাড়া দিয়েছে প্রচুর মানুষ। গোয়ালিয়র ছাড়াও এগিয়ে এসেছে ভোপাল, ইন্দোরের বহু মানুষজন। এই অভিযানে গোয়ালিয়রের ছাত্রছাত্রীদের প্রধান উদ্দেশ্য, মহিলাদের হেনস্থা থেকে বাঁচানো এবং নারী উন্নয়নের প্রতিষ্ঠা। প্রচার অভিযানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের বার্তা পৌঁছে দিতে চান ছাত্রছাত্রীরা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখনও পৌঁছায়নি স্যানিটারি ন্যাপকিন। যার ফলে একাধিক রোগের সম্মুখীন হতে হয় মহিলাদের। ছাত্রছাত্রীদের আশা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রত্যেক মেয়েদের কাছে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দিতে পারবেন।
এই প্রচার অভিযানের সঙ্গে যুক্ত এক ছাত্র হরি মোহন বলেন, স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপরও ১২ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে। কোনওরকম ভর্তুকি না দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিনকে বিলাসবহুল দ্রব্যের আওতায় ফেলা হয়েছে। তাই আমরা ৩ মার্চের মধ্যে একহাজার স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানোর পরিকল্পনা করেছি। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, গোয়ালিয়রে এই সমস্যা নেই। কিন্তু দেশের গ্রামীণ এলাকার কথা মাথায় রেখে এই প্রচার অভিযান শুরু করেছে তাঁরা। পরিষ্কার ন্যাপকিন মহিলাদের পক্ষে স্বাস্থ্যকর।
Be the first to comment