সান্টার ঝোলা থেকে তো উপহার আসে, কিন্তু তাঁর পকেটে স্যালারি আসে কোথা থেকে! সেটাই জেনে নিন, আমার আপনার থেকে কতটা বেশি উপার্জন এই বুড়োর!
এখনও সে ভাবে শীত পড়েনি শহর কলকাতায়, তবু ক্যালেন্ডারের হিসেব বলছে, বড়দিন আসছে। আর বড়দিন মানেই তো সাদা দাড়িগোঁফে, লাল জামায়, ঝোলা পিঠে গোলগাল সান্টায় শহরের নানা জায়গা ভরে যায়। শপিং মল থেকে রোস্তরাঁ, বাদ যায় না কোনওখান। ছোটোবেলাগুলো তো মোজায় ভরা গিফ্ট পেয়েই খুশি থাকে। কিন্তু আমাদের বড়বেলা তো জানতে চায়, যে ওই শীতবুড়ো মানুষটা সারা দিন আনন্দ ফেরি করে কী পান! আমার-আপনার বাড়ির বাচ্চার আব্দার থেকে সারা দিনে ছুটোছুটি– কেন এই পেশা বেছে নেন তাঁরা? আনন্দ বিলিয়ে পেট ভরে তাঁদের? কী নিয়ে ফেরেন তাঁরা নিজের ঘরে?
এ দেশে এক রকম আবহে সান্টাকে পাই আমরা। তবে বিদেশেও চেহারায় বিশেষ তফাত নেই। জানা যায়, কোথাও কোথাও সান্টাদের পোশাকটা কিনে দেওয়া হলেও, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের নিজেদের গ্যাঁটের কড়ি খসিয়েই কিনতে হয় জামাকাপড় এবং একমুখ সাদা দাড়ি! যেগুলো মোটেও সস্তা নয়। দিন-দিন সেগুলোর দামও বাড়ছে।
সমীক্ষা বলছে, মলে ঘুরে বেড়ানো সান্টাদের ঘণ্টায় ৩০ ডলার দেওয়া হয় গড়ে। তবে এই হিসেব ১২-তেও নেমে যেতে পারে, আবার উঠতে পারে ৭৫-এও। অর্থাৎ একই কাজ করে কেউ পান ১২ ডলার, আবার একই সময় কাজ করে পকেট ভরাতে পারেন ৭৫ ডলারেও!সবই কপাল!
এই কপালজোরেই বছরের হিসেবে কেউ ৭ হাজার আবার কেউ ১০ হাজার ডলার ইনকাম করতেই পারেন। তাই সেই আশাতেই হয়তো এ রকম প্রতিদানবিহীন কাজ অনেকেই করেন বছরের পর বছর।
শপিংমলে সময় দিতে দিতেই অনেকেরই আবার ডাক পড়ে এলিট পার্টিতে ছোটদের বিনোদনের জন্য। কাউকে বা ডাকা হয় কর্পোরেট ইভেন্ট বা প্রাইভেট পার্টিতে। তাঁদের বার্ষিক আয় সে ক্ষেত্রে ২০ হাজার ডলারও হয় অনেক সময়। কাজেই পরিশ্রম তখন জলভাত মনে হয়।
অন্যান্য পেশায় অনেকেই হয়তো ৱছরে ১০ হাজার ডলার উপার্জন করতে হাঁপিয়ে যান, তবে সান্টার এই সিজন-ভিত্তিক কাজে প্রায়ই তার চেয়ে বেশি উপার্জন সম্ভব হয়। তবে যাঁরা সান্টা সাজেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে শুধু টাকার জন্য তাঁরা এই কাজ করেন না মোটেও। তার চেয়েও বেশি আনন্দ পান, লোকজনকে আনন্দ দিয়ে। তাই সিজনে পকেট যেমনই ভরুক, মনের দিক থেকে আনন্দেই কাটান এই পোশাকি সান্টারা।
Be the first to comment