জামিনে মুক্ত রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু পান। জামিনের পাশাপাশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। গোটা ঘটনায় পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি। সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। অন্যান্যদিনের মতোই গত সোমবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা সেখানে ছিলেন। ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি তুলে ধরছিলেন। গত সোমবার বিকেল ৫ টা নাগাদ আচমকাই রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু পানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে মঙ্গলবার বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। পুলিশ ১০ দিনের হেফাজত চায়। আদালত সন্তুকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পরবর্তী জামিনের আর্জি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সন্তু। বুধবার তাঁর হয়ে সওয়াল করেন মহেশ জেঠমালানি।
এদিন সওয়াল জবাবের পর আদালতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, অভিযোগ দেখেই বোঝা যাচ্ছে তা সাজানো অর্থাৎ পরিকল্পনামাফিক হতেই পারে। পাশাপাশি সন্তুর বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে, তার একটি বাদে সবই জামিন যোগ্য। সওয়াল জবাব শেষে সাংবাদিকের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি। এর পরই সন্দেশখালি কাণ্ডে পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি। পুলিশ এতদিন ধরে শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি, অথচ সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “পুলিশ আধিকারিকদের যা কাজ সেটা আগে করুন।” তবে এদিন সন্তু জামিন পাওয়ার পরই তাঁকে অভিনন্দন জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে সন্তুর সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন তিনি।
Be the first to comment