মঙ্গলবার দিল্লীতে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের দীর্ঘ ৪৫ মিনিটের বৈঠকে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল যাদবের সঙ্গেও। কথা হয় শিবসেনার সঙ্গে।
উল্লেখ্য, এ দিন সকালে সংসদের সেন্ট্রাল হলে আসার সঙ্গে সঙ্গেই মমতার সঙ্গে দেখা করেন ৫ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। আসেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত থেকে শুরু করে টিআরএস সাংসদ কে কবিতা এবং টিডিপি নেতারাও। বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলে মমতা সোজা চলে যান সংসদে তৃণমূলের ঘরে। বেশ কিছু ক্ষণ সেখানে সময় কাটান নেত্রী। দলীয় সাংসদদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি এদিন মমতার সঙ্গে দেখা করেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাও।
আর এরপরেই তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। আর সেখানে সব বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট গড়ার কথা বলেন। তিনি তুলে ধরেন বিভিন্ন ইস্যু। তবে প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ ছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিন বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলে কটাক্ষ করার পাশাপাশি তৃণমূলনেত্রী বলেন, বিজেপির এবার যাওয়ার সময় এসেছে। পাশাপাশি মমতা আরও বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচন বেশ আকর্ষণীয় হবে। যাদের যেখানে শক্তি বেশী তাদের সেখানেই লড়াই করতে হবে।
অন্যদিকে অনাস্থা প্রস্তাবে বিজেপি যে ভয় পেয়েছে সেকথাও মনে করিয়ে দিতে ভোলেন নি মুখ্যমন্ত্রী। তবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রধান বক্তব্য একটাই, সেটি হলো যে কোনও ভাবেই হোক বিজেপিকে ঠেকাতে হবে। তার জন্য সব দলকে এক হয়ে লড়াই করতে হবে।
প্রসঙ্গত, আজই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু সোনিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সুস্থ হওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু রাহুলের সঙ্গে তাঁর মাঝে মাঝেই কথা হয় বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও বুধবার বিজেপি বিক্ষুব্দ নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা ও যশবন্ত সিনহার মতো বেশ কয়েকজন দুঁদে রাজনীতিবিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বধের লক্ষে মমতা যে সব বিরোধীদের একত্রিত করে বাজিমাত করার চেষ্টা করছেন তা কিন্তু জলের মতোই পরিষ্কার।
Be the first to comment