সফল হলো নতুন বছরের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। ২০২০-তে প্রথমবার উৎক্ষেপণ করা হল স্যাটেলাইট। আর সেই রকেটেই মহাকাশে পোঁছল ভারতের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট Gsat-30।
শুক্রবার ভোররাতে সেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির রকেটে সেই স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে। হেভি লিফট লঞ্চ ভেইকল Ariane-5 (VA 251)-এ পাঠানো হয়েছে এই স্যাটেলাইট।
লঞ্চ হওয়ার ৩৮ মিনিট পর কক্ষপথে স্থাপিত হয় ওই স্যাটেলাইট। ৩,৩৫৭ কেজির ওই স্যাটেলাইট Insat-4a স্পেসক্রাফটের পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে। ভারতের দ্বীপ সহ বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিকেশন বাড়াতে কাজ করবে এই স্যাটেলাইট।
এই স্যাটেলাইটের আয়ু ১৫ বছর। গ্রামাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির কাজে এই স্যাটেলাইট বিশেষ কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে। ফ্রান্সের গিয়ানা স্পেস সেন্টার থেকে ভোর রাতে ওড়ে এই স্যাটেলাইট। এর থেকে DTH সার্ভিস ও ডিজিটাল নিউজ পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে।
এক বছর আগে ভারতের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট Gsat-31 লঞ্চ করেছিল এই ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করে আসছে ভারত ও ফ্রান্স।
এদিকে, এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে গগনযানের জন্য মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা। চারজন মহাকাশচারীকে ইতিমধ্যেই বাছা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ইসরো প্রধান কে শিবানের তরফে।
গগনযান ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযান অভিযান। যার জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে চার মহাকাশচারীকে। জানানো হয়েছে, গগনযানের টেস্ট ফ্লাইট চলতি বছরে পাঠান হবে মহাকাশে।
কে শিবান জানান, এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে রাশিয়াতে শুরু হবে প্রশিক্ষণ। এছাড়াও চন্দ্রায়ন ৩ এবং গগনযানের জন্য এই প্রশিক্ষণ চলবে বলেও জানান। চাঁদের মাটিতে মুখ থুবড়ে পরা চন্দ্রযান ২ কে চিহ্নিত করার জন্য চেন্নাইয়ের প্রযুক্তিবিদকে ধন্যবাদও দিয়েছেন তিনি। কে শিবান জানিয়েছেন তারা বুঝতে পেরেছেন কোথায় রয়েছে চন্দ্রযান ২। এছাড়াও বিক্রম ল্যান্ডারে কি ভুল ছিল তাও তারা বুঝতে পেরেছেন। কি জন্য এমনটা হয়েছেন তাও জানিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment