প্রাণ ভয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী সতীশ সানা। রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের শেষ পেড়েক সতীশ, যিনি আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ এনেছিলেন। মঙ্গলবার, সতীশের আবেদনে সবুজ সংকেত দিল সুপ্রিম কোর্ট। সতীশকে নিরাপত্তা দিতে হায়দরাবাদ পুলিশকে নির্দেশ দিল আদালত।
সানার অভিযোগকে হাতিয়ার করেই আস্থানাকে সাসপেন্ড করার চিঠি দিয়েছিলেন প্রাক্তন সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা।হায়দরাবাদের গাচ্ছিবাউলির ব্যবসায়ী সতীশ সানা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দী দিয়ে অভিযোগ করেন, মঈন কুরেশি মামলায় তাঁকে বার বার জেরা করার জন্য ডেকে বিরক্ত করছিলেন সিবিআইয়ের দিল্লিস্থিত দফতরের এক ডিএসপি। যাঁর নাম দেবেন্দ্র কুমার। তাঁকে অন্তত পাঁচ বার জেরার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই তাঁকে এক প্রশ্ন করা হয়। এক বার তাঁকে মঈন কুরেশির সঙ্গে মুখোমুখিও বসানো হয়েছিল।
তখনও তাঁর ও মঈন কুরেশির বক্তব্যের মধ্যে কোনও ফারাক ছিল না। তা সত্ত্বেও তাঁকে হেনস্থা করা থামাননি দেবেন্দ্র কুমার। এর পরেই এক ব্যবসায়ী মারফত রাকেশ আস্থানা তাঁর কাছে ৫ কোটি টাকা দাবি করেন। বিনিময়ে তাঁকে মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু টাকা দিলেও তাঁরা তাঁকে রেহাই দেননি। সতীশের ওই জবানবন্দির ভিত্তিতেই এফআইআর দায়ের হয় রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে।
রাকেশ আস্থানা, অলোক বর্মারা পথের কাঁটা না হোলেও, সতীশের ভয় – সাহস করে জবানবন্দী দেওয়ার খেসারত না তাঁকে দিতে হয়। ১৫ অক্টোবর সতীশ সানার অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই আরও প্রকট ভাবে প্রকাশ্যে আসে সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধ। তবে, নিরাপত্তা দিলে তদন্তে সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন সতীশ সানা। আজই পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
Be the first to comment