পিয়ালি আচার্য, কলকাতা :- ১৯৯৩ এর বম্বে ব্লাস্ট বা ২৬/১১ মুম্বাই অ্যাটাকের দগদগে ক্ষত আমাদের স্মৃতিকে এখনো তাড়া করে। বিশেষ করে ২০০৮ এর ২৬ নভেম্বর জলপথে এসে যেভাবে কাসভ বাহিনী দেশের বাণিজ্য নগরীতে নৃশংস হামলা চালায় তার নিষ্ঠুরতা, ভয়াবহতার আজও নিন্দা হয় আন্তর্জাতিক স্তরে। ২৬/১১ এর পরে ভারতীয় নৌবাহিনী আরো সজাগ আরো সতর্ক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই আক্রমণের পর বাড়তি নজরদারি দিচ্ছে। নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি ( CCS) সামুদ্রিক নিরাপত্তা, উপকূলবর্তী এমনকি সমুদ্রসীমার দুরবর্তী স্থানেও নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে সদা সচেষ্ট। ভারতীয় নৌবাহিনীও যেন উপকূল প্রতিরক্ষায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্ভেদ্য দুর্গ তৈরি করেছেন। আর সেই প্রচেষ্টারই একটি অংশ sea – vigil -24.
সারা দেশ জুড়ে ২০ ও ২১ নভেম্বর ২০২৪ হবে এই মহড়া। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয় এই ex – sea – vigil. এবারে চতুর্থ পর্যায় অভূতপূর্ব ব্যবস্থাপনা। উপকূলবর্তী অঞ্চল ও দ্বীপ গুলিতে ৬ টি মন্ত্রক ও ২১ টি সংস্থা যুক্ত থাকছে এই প্রচেষ্টায়। জলপথে নৌকা ছিনতাই করে সন্ত্রাসবাদীদের প্রবেশ হোক অথবা উপকূলবর্তী অঞ্চলে ছদ্মবেশে থেকে ভারতে হানা দেওয়া,এই সবকিছু ব্যর্থ করে দিতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় নৌবাহিনী। তাই সামুদ্রিক সুরক্ষায় মৎস্যজীবী, উপকূলের বাসিন্দা, NCC ও Bharat scouts and guides এর ছাত্রছাত্রীদের ও এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।
Naval -officer -incharge west bengal কমোডর অজয় যাদব আর্মি , এয়ার ফোর্স, কোস্ট গার্ড, বিএসএফ, মেরিন পুলিশ, এনএসজি, সিআইএসএফ, ফিশারিজ, কাস্টমস, এবং অন্যান্য সংস্থা গুলির সঙ্গেও প্রতি নিয়ত যোগাযোগ করে চলছেন। মহড়ায় এদের উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্য। সব রকম সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও ফাঁক ফোকর থেকে যায়। শত্রু হানা দেয় চোরাগোপ্তা পথে। সেই অপচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে এই উদ্যোগ জানালেন কমোডর যাদব। তিনি বলেন , ‘১১,০৯৮ coast line ( উপকুল রেখা), ৩০ লক্ষ মৎস্যজীবী বিষয়টি অনেক বড় , আমরা তো নৌ সীমান্ত সিল করতে পারিনা।’ আইএনএস নেতাজিতে আজ ১৮ নভেম্বর ২০২৪ সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হন নৌবাহিনীর আধিকারিকরা। এক প্রশ্নের জবাবে কমোডর যাদব জানান বাংলাদেশের নতুন ব্যবস্থায় ( রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পালা বদল) সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও বিএসএফ এর নজরদারি আরো বাড়ানো হয়েছে।
Be the first to comment