কীভাবে হবে এবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন, তা আজই ঘোষণা হতে পারে। এমনটাই মনে করছে শিক্ষা মহলের একাংশ। তবে শিক্ষা দফতরের তরফে এখনও চূড়ান্ত কোনও ঘোষণা করা হয়নি। সূত্রের খবর, মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা এবং দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। তবে গুরুত্ব নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলে গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাতে কিছুটা হেরফের হয়েছে।
বিভিন্ন মহলের বক্তব্য যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এখন নবম শ্রেণির পাঠ্যক্রম থাকে না। দুটি পরীক্ষাকে একই মাপকাঠিতে ফেলা যায় না। মাধ্যমিকের জন্য সাধারণ পড়ুয়ারা আরও বেশি প্রস্তুতি নেয়। ফলে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অগ্রাধিকার দিলে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ফাঁক থেকে যাবে। আবার দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে অগ্রাধিকার দেওয়ার পক্ষেও মত দেয়নি সংশ্লিষ্ট মহল। বিশেষত করোনাভাইরাসের দাপটে এবার মূলত অনলাইনেই হয়েছে সেই মূল্যায়ন। সেই পরিস্থিতিতে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় কিছুটা বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে বিশেষ নিয়মে দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের নম্বর যোগ করা হবে। তার ভিত্তিতে মাধ্যমিকের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।
গত ৭ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে যে ৭০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হোক নবম শ্রেণি থেকে। বাকি ৩০ শতাংশের নম্বর দশম শ্রেণি থেকে দেওয়া হোক (যদিও করোনার দাপটে এবার প্রি-টেস্ট ও টেস্ট হয়নি)। অনেকের আবার বক্তব্য, নবম এবং দশম শ্রেণি তো এখন আলাদা। তাহলে কেন নবম শ্রেণিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ কমিটির নবম শ্রেণির ৭০ শতাংশ ও দশম শ্রেণিং ৩০ শতাংশ নম্বরের বিষয়টা উলটেও দেওয়া যেতে পারে বলে আমার মনে হয়।’
উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে আবার প্র্যাক্টিক্যাল (ল্যাবরেটরি-ভিত্তিক বিষয়ের ক্ষেত্রে ৩০ নম্বর) এবং প্রোজেক্ট (ল্যাবরেটরি-ভিত্তিক বিষয় না হলে ২০ নম্বরের) মিলিয়ে স্কুল থেকে যে নম্বর জমা দেওয়া হয়, তাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ওই মহলের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যাল বা প্রোজেক্টের প্রাপ্ত নম্বরের পাশাপাশি মাধ্যমিকের নম্বরও গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।
Be the first to comment