
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:– নিউ টাউন রাজারহাটে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দোলের জেরে চলল কয়েক রাউন্ড গুলি। সব্যসাচী দত্ত ও তাপস চ্যাটার্জীর অনুগামীদের মধ্যে এলাকা দখল নিয়েই সংঘর্ষ বলেই জানা যাচ্ছে।
দিনেদুপুরে রাজারহাটে নারায়ণপুরের এক পরিবারকে টার্গেট করে চলল বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি। ওই বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে। শুক্রবার দুপুরে এনিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অন্তত ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি চলেছে। দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দিনের আলোয় এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি বলেই দাবি তাঁদের। আতঙ্কে ঘরের দুয়ার এঁটেছেন বাসিন্দারা। শুটআউটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রাজারহাট থানার পুলিশ। দুষ্কৃতীরা পলাতক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্যার সূত্রপাত দিন কয়েক আগেই। ইদের নিমন্ত্রণ নিয়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল নারায়ণপুর এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দা শেখ আজাদ ইদ উপলক্ষে প্রাক্তন বিধায়ক সব্যসাচী দত্তকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এলাকাবাসীর দাবি, তা মোটেই পছন্দ হয়নি রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের। এনিয়ে শেখ আজাদকে তিনি কটাক্ষও করেন। তার প্রতিবাদ করেছিলেন শেখ আজাদ ও তাঁর অন্যান্য বন্ধুবান্ধবরা। এরপর আচমকা শুক্রবার দুপুরে অতর্কিতে আক্রমণ নেমে আসে আজাদের পরিবারের উপর। তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে মুহূর্মুহূ গুলি চলে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালায়। নিমেষের মধ্যে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরাই এই হামলা চালিয়েছে। এক তৃণমূল কর্মীকে টার্গেট করে গুলি চালানো হয়। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বরাতজোরে তিনি বেঁচে যান, এমনই দাবি শেখ আজাদের সঙ্গীদের। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। তাতে স্পষ্ট, দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে চম্পট দিয়েছে। তাদের পালটা ধাওয়া করে এলাকার কয়েকজনও। কে বা কারা এই হামলা চালাল, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাদের চিহ্নিত করে নাগালে আনতে মরিয়া তদন্তকারীরা। কলকাতার উপকণ্ঠে রাজারহাটে এমন ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ।
Be the first to comment