শবরীমালা মন্দিরে মহিলা প্রবেশের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছে শবরীমালা বাঁচাও কমিটি

Spread the love
দশমীর ভোরেই শবরীমালা রেশ।পুনে থেকে সমাজকর্মী ত্রুপ্তি দেশাইকে আটক করল পুলিশ। শবরীমালা মন্দিরে মহিলা প্রবেশে ফের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় সরব হন ত্রুপ্তি। শুক্রবারই সিরডির সাই বাবা মন্দিরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তার আগে সিরডি পৌঁছতে চেয়েছিলেন ত্রুপ্তি সহ বিক্ষোভরত মহিলার।সেখানেই ছিল বিক্ষোভ কর্মসূচি। তার আগেই পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে বলে অভিযোগ। আটক করা হয় ত্রুপ্তি দেশাইকে।
শবরীমালা মন্দিরে মহিলা প্রবেশের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছে শবরীমালা বাঁচাও কমিটি। গত কয়েকদিন ধরেই মন্দিরে ১০-৫০ বছরের মহিলাদের মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর বিরোধিতায় মন্দিরের সামনেই মহিলা সমাজকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। বৃহস্পতিবারই নিউইয়র্ক টাইমসের ২ মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থা করা হয়। তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে “শবরীমালা বাঁচাও কমিটি”-র সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব তাদের নিয়ন্ত্রণে আনা বলে মনে করছেন ত্রুপ্তি। শুক্রবার সিরডি সাইবাবা মন্দিরের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই বিক্ষোভ মিছিলের পরিকল্পনা ছিল ত্রুপ্তির। তার আগেই আটক করা হয় তাঁকে।যা অসাংবিধানিক বলে মনে করছেন বিক্ষোভরত মহিলারা।
এদিকে, রাবণ বধের দিনই নতুন করে উত্তপ্ত শবরীমালা মন্দির চত্ত্বর। “শবরীমালা বাঁচাও কমিটি”-র সদস্যদের স্লোগান শুরু হয়েছে সকাল থেকে। মন্দিরের গেট আটকে চলছে তাণ্ডব।
শুক্রবার সকালে শবরীমালা মন্দিরের ৫০০ মিটারের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন দুই মহিলা। পুরোহিত ও ভক্তদের বাধায় ফিরতে হয়েছে তাঁদের।  ফেরার পথে মহিলাদের একজন, কবিতা জাক্কাল বলেছেন, আর কয়েক পা হাঁটলেই মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকতে পারতাম। যাই হোক, অত কাছে যে যেতে পেরেছি, তার জন্য আমি গর্বিত।
কবিতার বয়স ২৪। হায়দরাবাদের মোজো টিভির সাংবাদিক। এক সন্তানের মা। তিনি ও অপর এক মহিলা এদিন বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশের বিশাল একটি দল। মন্দিরের কাছে গিয়ে দেখা যায়, এক ডজন পুরোহিত ও ভক্তরা সিঁড়িতে বসে আছেন। প্রধান পুরোহিত পুলিশকে জানিয়ে দেন, ওই দুই মহিলা মন্দিরে ঢুকতে গেলে দরজা বন্ধ করে চলে যাবেন। পুলিশ  মহিলাদের সেকথা জানাতে তাঁরা ফিরে আসেন।
কবিতা বলেন, আমরা খুব বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলাম। পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে শবরীমালা মন্দিরের কাছে পৌঁছলাম। ১০০ মিটার দূরে আমাদের আটকে দেওয়া হল। পুলিশ অবশ্য বলেছিল, আমরা মন্দিরে ঢুকতে চাইলে পুরো সুরক্ষা দেওয়া হবে।
এর আগে কবিতা বলেছিলেন, তিনি যে করেই হোক মন্দিরে ঢুকে পুজো দিয়ে আসবেন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও বলেছিলেন, তাঁকে সবরকম নিরাপত্তা দেবেন। কিন্তু রাজ্যের দেবোসম মন্ত্রী বলেছেন, এদিন যে দুই মহিলা মন্দিরে যেতে চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ভক্ত নন। অ্যাকটিভিস্ট। নিজেদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ করার জন্য মন্দিরে ঢুকতে চেয়েছিলেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*