কেরালার শবরীমালা মন্দিরে মহিলা সাংবাদিকদের পাঠাতে বারণ করা হল কর্তৃপক্ষের তরফে। এই মন্দিরে বহুকাল থেকেই ঋতুমতী নারীদের প্রবেশ নিষেধ। এর প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভের জেরে শেষমেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মন্দির। সোমবার একটি বিশেষ পুজোর জন্য ভগবান আয়াপ্পার এই মন্দির খোলা হবে, সেই কারণেই মহিলা সাংবাদিকদের পাঠাতে বারণ করে দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সুপ্রিম কোর্ট এই মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকারের সপক্ষে রায় দেওয়ার পরে বিপুল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সংঘটিত হয় মন্দির চত্বরে। বন্ধ হয়ে যায় মন্দির। তার পরে, এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য খোলা হচ্ছে মন্দিরটি। এর ঠিক আগেই মহিলা সাংবাদিক না পাঠানোর এই অনুরোধ জারি করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশের পরে প্রথম বার, গত মাসে পাঁচ দিনের পুজোর জন্য মন্দিরটি খোলা হয়। মহিলা সাংবাদিকরা খবরের প্রয়োজনে এখানে ঢুকতে গেলে তাঁদের হেনস্থা করা হয়, তাঁদের গাড়িতে হামলা চালানো হয় এবং শেষমেশ ফিরে আসতে বাধ্য করা হয়েছিল।
সোমবার সন্ধ্যায় মঙ্গলবারের ‘চিথিরা আত্তাভিশেষম’ পুজো উপলক্ষ্যে মন্দিরের দরজা খোলা হবে। এটি হল ত্রিভাঙ্কোরের শেষ রাজা চিথিরা থিরুনাল বালরামা ভার্মার জন্মদিন উপলক্ষ্যে পুজো। পুজোর পরে মঙ্গলবার রাত ১০টায় মন্দিরটি বন্ধ করা হবে।
মন্দির সমিতি জানিয়েছে যে, কেরালা ও দেশের অন্যান্য অংশে ও এমনকী বিদেশের ভক্তদের বৃহত্তর সংখ্যাগরিষ্ঠতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে শীর্ষ আদালত শবরীমালা মন্দিরে যুবতী নারীদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। সরকার বলপূর্বক শবরীমালা মন্দিরের পুরনো ঐতিহ্য ও প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি যুবতী নারীদের মন্দিরে প্রবেশ করাতে চাইছে।
Be the first to comment