শবরীমালা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কেরলে পাল্লা দিয়ে কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি আর কংগ্রেস

Spread the love
শবরীমালা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কেরলে পাল্লা দিয়ে কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি আর কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, যে কোনও বয়সের মেয়েরা আয়াপ্পান দেবতার মন্দিরে ঢুকতে পারবেন। কেরলের বাম সরকার জানিয়েছে, কোনও মহিলা যদি মন্দিরে ঢুকতে চান, তাঁকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কিন্তু মানুষের ভাবাবেগের দোহাই দিয়ে আন্দোলনে নামছে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল।  বিজেপি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শুরু করছে রথযাত্রা।  অন্যদিকে কংগ্রেস এলাকায় এলাকায় পদযাত্রা করবে বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপির প্রবীণ নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা রথযাত্রার সূচনা করবেন কাসারগড়া থেকে। রথ যাবে পাথনমথিত্তা পর্যন্ত। ইয়েদুরাপ্পা বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে নই।  কিন্তু রায় দেওয়ার সময় মানুষের ভাবাবেগের কথা খেয়াল রাখা উচিত ছিল। মহিলা ভক্তদেরও ৯০ শতাংশ ওই রায়ের বিরোধিতা করেছেন।  দেশের কোথাও যখন মানুষ ন্যায্য কারণে প্রতিবাদ জানায়, জাতীয় দল হিসাবে তাকে সমর্থন করা আমাদের কর্তব্য।
শবরীমালা নিয়ে রাজ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার জন্য ইয়েদুরাপ্পা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারায় বিজয়নকে দায়ী করেন। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর উচিত অবিলম্বে ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া।
কংগ্রেসের পদযাত্রা হবে রাজ্যের পাঁচটি অঞ্চল থেকে। প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি কে সুধাকরণ পদযাত্রার সূচনা করবেন কাসেরগড় থেকে।  অন্যান্য যেসব জায়গা থেকে পদযাত্রা হবে, তার মধ্যে আছে আলাপুঝা, থদুপুঝা, পালাক্কাড় এবং তিরুবনন্তপুরম।  এম এম হাসান, কুডিকুন্নি সুরেশ, কে সি বেণুগোপাল, রমেশ চেন্নিথালা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চণ্ডী পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন।
বিজেপিকে সমালোচনা করে কংগ্রেস বলেছে, রাজনৈতিক ফয়দা তোলার জন্যই রথযাত্রা করতে চলেছে তারা।  প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি মুল্লাপাল্লি রামচন্দ্রন বলেন, আরএসএস তো প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারকে স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু তারপর একশ্রেণির ভক্তের ভাবাবেগ লক্ষ করে নিজেদের অবস্থান পাল্টে ফেলেছে। এটা রাজনৈতিক সুবিধাবাদ ছাড়া কিছু নয়।
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বুধবার বলেছেন, আমি রাজ্যকে প্রগতিশীল পথে পরিচালনা করতে চাই। আরএসএস, বিজেপি সাম্প্রদায়িক বিভাজন চায়।
শবরীমালা নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদনগুলি জমা পড়েছে, তার ওপরে শুনানি হবে আগামী ১৩ নভেম্বর।  মন্দির খুলবে ১৬ নভেম্বর।
এর আগে শবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন বেশ কয়েকজন ৫০-এর কমবয়সী মহিলা। মন্দিরের কাছে গিয়েও ভক্তদের বিক্ষোভে তাঁদের ফিরে আসতে হয়েছে । বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কংগ্রেস ও বিজেপি, দুই দলের লোকই ছিল। কিন্তু এবার পৃথকভাবে আন্দোলন করতে চলেছে দুই দল ।
ছবি, সৌজন্যে এএনআই

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*