শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের কয়েক মিটার আগে এক দলিত মহিলাকে আটকালো উত্তেজিত সদস্যরা

Spread the love
সংখ্যাটা বেড়ে মাত্র ৯। সেই নবম মহিলাকেও চরম হেনস্থার মুখেই পড়তে হল। শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের কয়েক মিটার আগে এক দলিত মহিলাকে আটকায় মন্দির কমিটির উত্তেজিত সদস্যরা। শুধু আটকানোই নয়, মহিলাকে ঘিরে হেনস্থা, গালিগালাজ চলে সমানতালে। আতঙ্কে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান ওই মহিলা।
রবিবার সকালেই পায়ে হেঁটে মন্দিরের কাছে পৌঁছে যান মধ্যবয়সী ওই মহিলা। মন্দিরের প্রবেশদ্বারের কিছু আগে তাঁকে ঘিরে ধরে মন্দির কমিটির সদস্যরা। বয়স জানতে চেয়ে তাঁর আই কার্ডে দেখতে চাওয়া হয়। পাশপাশি শুরু হয় গালিগালাজ, কটূক্তি। মহিলার হাত ধরে তাঁকে বাইরে বার করে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। সেই সময়ই আতঙ্কিত মহিলা জ্ঞান হারালে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
সূত্রের খবর, বালাম্মা নামে ওই মহিলার বয়স ৪৭। মন্দিরের প্রবেশদ্বারে পৌঁছতে ৪ কিমি পথ হেঁটে আসেন তিনি। সেই পথে কোনওরকম পুলিশি নিরাপত্তা পাননি  বলে অভিযোগ। এমনকী, হেনস্থার মুখেও কোথাও কোনও পুলিশ ছিল না বলেও জানান বালাম্মা।রবিবার সকালে বালাম্মার আগেও ২ মহিলা শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেন।তাঁরাও মন্দির কমিটির সদস্যদের অভব্য আচরণের শিকার হন। আতঙ্কে ফিরে আসতে বাধ্য হন।
বুধবার থেকে একটানা শবরীমালা বাঁচাও কমিটির সদস্যদের অত্যাচার চলছেই। মন্দির চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা বাস,গাড়ি ধরে ধরে তল্লাশি করছে তারা। মহিলাদের বার বার হেনস্থা থেকে গালিগালাজ সবই চলছে।  প্রায় দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এরই মধ্যে, রবিবার শবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কয়েশো মহিলা।তামিলনাড়ুর আন্নানগর আয়াপ্পা মন্দিরের সামনে চোখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
তথ্য বলছে, দেশজুড়ে শবরীমালা মন্দিরে  মহিলা প্রবেশের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার মহিলা সরব হয়েছেন। অথচ, এখনও পর্যন্ত মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেছেন মাত্র ৯ জন মহিলা। আগামিকাল নিয়ম মেনে বন্ধ থাকবে শবরীমালা মন্দির। তবে, পুলিশে ছয়লাট মন্দির চত্ত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে “শবরীমালা বাঁচাও কমিটি”।
জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ধূপগুড়িতে। ধর্ষণের পর নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় স্থানীয় দুই যুবক রতনু মুন্ডা ও পরিমল রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে স্থানীয় একটি নদীর পাশে নিয়ে গিয়ে মহিলার উপর নির্যাতন চালায় ওই দুই যুবক। অভিযোগ এরপর নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেয় তারা। নৃশংস ভাবে অত্যাচারের পর মহিলাকে নদীর পাড়ে ফেলেই পালায় আততায়ীরা। রাতভর রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই পড়েছিলেন নির্যাতিতা মহিলা।
রবিবার বেলার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং এক এনজিও কর্মী ধূপগুড়ির ঠাকুর পাট এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন ওই মহিলাকে। তারা জানিয়েছেন সেই সময় প্রবল রক্ত ক্ষরণ হচ্ছিল ওই মহিলার। প্রাথমিক ভাবে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ধূপগুড়ি হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*