দীর্ঘ বিক্ষোভ-প্রতিবাদ-আন্দোলনের পর সোমবার ফের খুলছে শবরীমালার দরজা। যে কোনও রকম অশান্তি এড়াতে তাই আগে ভাগেই নিরাপত্তাবেষ্টনীকে আরও আঁটোসাঁটো করতে কাজে নেমে পড়ল প্রশাসন। মন্দির ও সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ১,৫০০ পুলিশ কর্মী। শনিবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত মন্দির সংলগ্ন স্পর্শকাতর এলাকাগুলি যেমন, এলাভুঙ্কলে, নিলক্কল, পাম্বা ও সন্নিধানমে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।
সোমবার বিকেলের দিকে খুলবে মন্দিরের দরজা। বন্ধ হবে মঙ্গলবার রাতে। পুলিশ সুপার টি নারায় জানিয়েছেন, মন্দির চত্বরেই মোতায়েন থাকবে ১,৫০০ পুলিশ কর্মী। নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরীক্ষার পরই বেসক্যাম্পে ঢোকার অনুমতি পাবেন ভক্তেরা। অবাঞ্চিত অনুপ্রবেশ রোখার জন্য নিলক্কলের জায়গায় জায়গায় ইতিমধ্যেই ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। ভক্তেরা ছাড়া অন্য কেউ নিলক্কল থেকে পাম্বার দিকে যেতে পারবেন না। প্রয়োজন হলে আটকানো হবে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরও।
পুলিশ আধিকারিক ছাড়াও সন্নিধাম, নিলক্কল ও পাম্বায় মোতায়েন করা হয়েছে একটি ২০ সদস্যের কম্যান্ডো টিম। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, কোনও মহিলা যদি মন্দিরে প্রবেশের জন্য পুলিশি নিরাপত্তা চান তাহলে তাঁকে সেটা দেওয়া হবে।
শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলা ভক্তদের প্রবেশাধিকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকেই উত্তাল কেরল। মন্দিরের দরজা খোলার পরই দফায় দফায় বিক্ষোভ-সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মন্দির চত্বর। মহিলা ভক্তদের রাস্তা আটকানো এমনকি হেনস্থারও অভিযোগ ওঠে ‘শবরীমালা বাঁচাও কমিটি’র বিরুদ্ধে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়েনের হস্তক্ষেপের পরই শবরীমালা যাওয়ার রাস্তা থেকে গ্রেফতার করা হয় ২,৮২৫ জনকে। ৪৯৫টি মামলাও দায়ের করেছে পুলিশ।
Be the first to comment