বহুল আলোচিত প্রথম মহিলা কয়েদির ফাঁসির মামলায় নাটকীয় মোড়। সব শেষেও ক্ষীণ আশার আলো শবনমের জন্য। উত্তরপ্রদেশের মহিলা জেলে ফাঁসির সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গেলেও এখনই কার্যকর হচ্ছে না শবনমের মৃত্যুদণ্ড। এমনকী কবে হবে ফাঁসি সে সম্পর্কেও এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে জেল তরফে। আইনি ফিতের ফাঁসেই শবনমের জীবনের মেয়াদ আরও কয়েকদিন বাড়ল।
জানা গিয়েছে রাজভবন থেকে এখনও শবনমের ক্ষমা প্রার্থনার আর্জির কোনও উত্তর আসেনি। অন্যদিকে, আমরোহার সাত সাতটি খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত শবনমের ডেথ ওয়ারেন্ট জারির জন্য জেলা জজ আদালতে আপিল করেছেন সরকারি উকিল। জমা পড়েছে শবনমের মামলার সমস্ত রিপোর্টও। এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে কোর্ট। শবনমের কোনও আপিল যদি বিচারাধীন থাকে তাহলে তার মৃত্যু শমন জারি করা যাবে না। সেক্ষেত্রে সমস্ত আপিলের জবাব আসার পরই জারি হবে মৃত্যুদণ্ড পালনের অন্তিম নির্দেশ। ডেথ ওয়ারেন্ট ইস্যু করার ১০ দিনের মধ্যেই শবনমের ফাঁসির সাজা কার্যকর হবে।
একই মামলায় অভিযুক্ত প্রেমিক সেলিমের কেস বিচারাধীন থাকায় মনে করা হচ্ছিল পিছিয়ে যেতে পারে শবনমের ফাঁসি। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও মহিলা অপরাধীর ফাঁসির সাজা কার্যকর হতে চলেছে। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী বিরল থেকে বিরলতম নৃশংসতার ঘটনায় প্রাণদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত। সেই বিরলতম নৃশংসতার সংজ্ঞাতেই দোষী সাব্যস্ত শবনম। যদিও একদিন আগেই তিনি ১২ বছরের নাবালক ছেলের কাছে আক্ষেপ করেছিলেন মামলার তদন্ত সিবিআই করলে ফলাফল অন্যরকম কিছু হত।
আপাতত শবনমের ফাঁসি খানিক বিলম্ব হলেও এই কেস নিয়ে কমছে না কারোর আগ্রহ। মৃত্যুদণ্ড খারিজ না হল শবনমই হতে চলেছেন স্বাধীন ভারতে ফাঁসিকাঠে পৌছনো প্রথম মহিলা। একদিকে মায়ের মৃত্যুদণ্ড রদ করতে আর্জি ছেলের, অন্যদিকে, শবনমের জন্য ফাঁসির চেয়েও কঠিন মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানাচ্ছেন তাঁর কাকীমা।
Be the first to comment