বাংলাদেশের স্টার অলরাউন্ডার ও ক্যাপ্টেন শাকিব আল হাসানকে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করল আইসিসি। মঙ্গলবার সন্ধ্য়ায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা টুইট করে ও নিজেদের ওয়েবসাইটে এই খবর জানিয়ে দিল।
শাকিব বছর দুয়েক আগে এক বুকির থেকে আন্তর্জাতিক ম্য়াচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। সে বিষয়ে তিনি আইসিসি-র অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (এসিএসইউ)কে কিছুই জানাননি। সেই অপরাধেই শাকিবের ওপর নেমে এল শাস্তির খাঁড়া।
শাকিব আইসিসি-র অ্যান্টি করাপশন কোডের তিনটি ধারা লঙ্ঘন করায় এই শাস্তি ভোগ করছেন। এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি। সেই তিনটি ধারা অপরাধ-
১) আর্টিকেল ২.৪.৪- এসিইউ-কে দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য় তুলে ধরার ব্য়র্থতা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবোয়ে ত্রি-দেশীয় সিরিজ /কিম্বা ২০১৮ আইপিএল সংক্রান্ত।
২) আর্টিকেল ২.৪.৪- ২০১৮-র জানুয়ারিতে দ্বিতীয় প্রস্তাবের সময়ও তিনি এসিইউ-কে পুরো তথ্য় দিতে ব্য়র্থ হওয়া।
৩) আর্টিকেল ২.৪.৪- ২০১৮ আইপিএলের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্য়াচ চলাকালীন এসিইউ-কে দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য় তুলে ধরার ব্য়র্থতা।
এই নির্বাসনের পর শাকিবের পক্ষে আর আসন্ন ভারত সফরে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়। শাকিব আগামী বছর আইপিএল ও টি-২০ বিশ্বকাপেও (১৮ অক্টোবর-১৫ নভেম্বর) খেলতে পারবেন না।
নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন শাকিব। তিনি বলছেন, দু’বছরের নির্বাসিত হয়ে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। কিন্তু আমার এই অপরাধ আমি পুরোপুরি স্বীকার করে নিচ্ছি। আমি দুর্নীতিমুক্ত ক্রিকেটের অঙ্গ হতে চেয়েও আইসিসি-এসিইউেয়র কর্তব্য় পালন করতে পারিনি। আমি ভবিষ্য়তে তরুণ ক্রিকেটারদের সমর্থন করব যাতে তাঁরা আমার মতো এই ভুল না-করে ভবিষ্য়তে।
Be the first to comment