মঙ্গলবার সকালে নিরাপত্তারক্ষীরা গোপন সূত্রে খবর পান, পুলওয়ামার ত্রাল অঞ্চলে লুকিয়ে আছে জঙ্গিরা। তাঁরা হাফু এলাকাটি কর্ডন করে ফেলেন। গোপন আস্তানা থেকে রক্ষীদের উদ্দেশে গুলি চালায় জঙ্গিরা। দু’পক্ষের গুলি বিনিময়ে নিহত হয় জঙ্গি নেতা জাকির মুসার ঘনিষ্ঠ শাকির। তার মৃত্যু কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীদের বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
জাকির মুসার জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম আনসার গাজওয়াত উল হিন্দ। শাকির সেই গোষ্ঠীর দুই নম্বর নেতা। তাদের সঙ্গে অপর জঙ্গি সংগঠন জয়েশ ই মহম্মদের যোগাযোগ আছে। কেবল কাশ্মীরে নয়, প্রতিবেশী রাজ্য পঞ্জাবেও নতুন করে জঙ্গিদের চাঙ্গা করে তোলার চেষ্টায় আছে জাকির মুসার গোষ্ঠী। সেই নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় আছে পঞ্জাব পুলিশ।
গুরুদাসপুরের পুলিশ অফিসার শরণদীপ সিং সম্প্রতি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, অমৃতসরে জাকির মুসাকে দেখা গিয়েছে। আমরা তার ছবি দেওয়া পোস্টার লাগিয়েছি। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, কেউ তাঁকে দেখতে পেলে যেন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানায়।
এর পরে জানা যায়, জয়েশের সাত জঙ্গিকে অমৃতসরের আশপাশে দেখা গিয়েছে। তাতে উদ্বেগ বাড়ে পুলিশের। কিছুদিন বাদে অমৃতসরের রাজাসানসি গ্রামে জঙ্গি হামলা হয়। এক প্রার্থনা কক্ষের বাইরে দুই বাইক আরোহী গ্রেনেড ছোঁড়ে। তিনজন নিহত হন। আহত হন ২০ জন।
গত ৫ নভেম্বর পঞ্জাব পুলিশ আনসার গাজওয়াত উল হিন্দের সঙ্গে জড়িত দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, তারা মুকসুদন স্টেশনে গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ছিল।
জাকির মুসার গোষ্ঠীর আরও কয়েকজন আগে গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু শাকিরের মতো কোনও বড় নেতার নাগাল এতদিন পায়নি নিরাপত্তা রক্ষীরা। তার দেহের কাছে অস্ত্রশস্ত্র, গুলি ও আপত্তিকর নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে।
অপর একটি ঘটনায় কুলগাঁওতে দু’জন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের এক জওয়ানও নিহত হয়েছে। সিআরপিএফের দুই জওয়ান আহত হয়েছে। তারা ঠিক কোন গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিল এখনও জানা যায়নি।
Be the first to comment