রাজ্যে বর্তমানে বিজেপি বিধায়দের সংখ্যা ৭৫। ভোটে জয়লাভ করার পরও দুই বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় কমেছে গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক সংখ্যা। বিরোধী শিবিরের দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই অবস্থায় অন্তত ৩৩ জন বিজেপির বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টি নিয়ে আজ জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
বিজেপি নেতার কাছে শনিবার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে কিছুটা গুরুগম্ভীর হয়ে পড়েন তিনি। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কিছুটা রুষ্ট কণ্ঠে বলে ওঠেন, “আমাদের কাছে তো খবর আছে ৭২ জন বিধায়ক তৃণমূলে চলে যাচ্ছে।” স্পষ্টত কিছুটা খোঁচা মারার কায়দায় কথাটা বলেন তিনি।
পালটা তাঁর দাবি, এখনও তৃণমূলের বহু নেতা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই প্রসঙ্গে শমীককে বলতে শোনা যায়, “লটারি পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উত্তরণ হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে পৌঁছেছেন সেটা তাঁর কষ্টার্জিত জায়গা। ফলে কে কোথায় আছেন, কার সঙ্গে কার যোগাযোগ রয়েছে, সেটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিলক্ষণ জানেন।”
অন্যদিকে ভোটের পর আজ বাঁকুড়া সফরে গিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সেই সফরের আগেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বাঁকুড়ার বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন তিনি।
তবে কেবল সৌমিত্র নয়। ‘বেসুরো’ প্রবীর ঘোষাল-সহ জল্পনার কেন্দ্রে থাকা মুকুল রায়ের প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন শমীক। মুকুল রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রায় পরিবারকে এই পরিস্থিতির মধ্যে রাজনীতিতে টেনে আনা ঠিক না।” অন্যদিকে প্রবীর ঘোষাল সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, “ওনার আবেগতাড়িত বক্তব্য নিয়ে কিছু বলব না। আমরা তাঁর পরিবারের পাশে আছি।” যদিও শেষে শমীক যোগ করেছেন, “বিজেপি কাউকে জোর করে দলের আনেনি। বিজেপি তার আর্দশ থেকে সরেনি।”
Be the first to comment