চিরবিদায় শাঁওলি মিত্রের, সবার আড়ালে সম্পন্ন শেষকৃত্য

শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Spread the love

সবার চোখের আড়ালে চিরবিদায় নিলেন নাট্য দুনিয়ার প্রথম সারির অভিনেত্রী শাঁওলি মিত্র। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। সম্ভবত বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু তাঁর। জানা গিয়েছে, রবিবার শীতের সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শম্ভু-তৃপ্তি মিত্রের কন্যা। তিনি নিজেও মঞ্চ দুনিয়ায় নিজস্ব ছাপ রেখে গেলেন।

এ দিন দুপুরে কিরীটি মহাশশ্মানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শেষ ইচ্ছাপত্রে ‘নাথবতী অনাথবৎ’-এর কন্যা জানিয়ে গিয়েছিলেন, দাহকার্যের পরেই তাঁর মৃত্যুর খবর যেন জানানো হয় সবাইকে। তাঁর শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকর্মী এবং রাজনীতিবিদ অর্পিতা ঘোষ।

বাবা শম্ভু মিত্রের মতোই মৃত্যুর পরবর্তী নিয়ম বিধি প্রকাশ করে গেলেন তিনি। ফুলের ভারে তাঁর দেহ যেন সেজে না ওঠে এমনই নির্দেশ ছিল তাঁর।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার
তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ
নবান্ন
৩২৫, শরৎ চ্যাটার্জি রোড
হাওড়া- ৭১১১০২

স্মারক সংখ্যা: ৮/আইসিএ/এনবি
তারিখ: ১৬/১/২০২২

মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তা
বাংলা নাট্যজগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং প্রখ্যাত মঞ্চশিল্পী শাঁওলি মিত্রের প্রয়াণে আমি গভীর ভাবে শোকাভিভূত বোধ করছি।

প্রবাদপ্রতিম শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যা শাঁওলি মিত্র বাংলা অভিনয় জগতে মহীরুহ ছিলেন। ‘নাথবতী অনাথবৎ’ বা ‘কথা অমৃতসমান’ এর মতো সৃষ্টিকর্ম বাংলার লোকমানসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

শাঁওলি মিত্র আমার বহুদিনের সহযোগী ছিলেন। সিঙ্গুর- নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তিনি আমার সঙ্গে একসাথে ছিলেন। আমি রেলমন্ত্রী থাকার সময় তিনি আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন। পরে আমরা দায়িত্বে এলে কিছুদিন পর তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতি হন এবং দায়িত্বের সঙ্গে মূল্যবান কাজ করেন। বাংলার সরকার তাঁকে ২০১২ সালে বঙ্গবিভূষণ ও ২০১৪ সালে দীনবন্ধু পুরস্কার দেয়।

শাঁওলিদির ইচ্ছাক্রমে তাঁর প্রয়াণের খবর আমাকে শেষকৃত্যের পর দেওয়া হয় ।আমি কিন্তু কাছের মানুষ হিসাবে তাঁকে মনে ধরে রাখলাম। আমাদের বহুদিনের সহকর্মী এবং সুহৃদ হিসেবে তিনি আমাদের মনের মণিকোঠায় থেকে যাবেন।

আমি শাঁওলিদির পরিবার- পরিজন ও অগণিত গুণগ্রাহী কে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*