অবসর নিতে চলেছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার; পড়ুন বিস্তারিত!

Spread the love
গত ৫২ বছর ধরে লড়ছেন নির্বাচনে। এবার নিচ্ছেন অবসর। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন না এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।  রবিবার পুনেয় এক অনুষ্ঠানে জানালেন নিজেই।
পুনে মহারাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী। সেই শহরকে নিয়ে এক কফি টেবিল বুক প্রকাশ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শরদ পাওয়ার।  সেখানে তিনি ওই শহরের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। পুনে শহরেই এক কলেজে পড়তেন তিনি। সেখানে পর পর চারবার নির্বাচনে জিতেছিলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ২০১৯ -এও কি আপনি পুনে থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন? তিনি বলেন, আর নির্বাচনে দাঁড়াব না।
শরদ পাওয়ারের বয়স এখন ৭৭।  তিনবার মহারাষ্টের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ১৯৯১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী নিহত হওয়ার পরে শোনা গিয়েছিল, সেবারের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস জিতলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। যদিও শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি তিনি। তবে নরসিংহ রাও মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। পরে অবশ্য ফের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হন । ন’য়ের দশকের শুরুতে মহারাষ্ট্রে অভিযোগ ওঠে, পাওয়ার বন দফতরের কয়েকজন দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
১৯৯৭ সালে শোনা গিয়েছিল, পাওয়ার কংগ্রেসের সভাপতি হচ্ছেন । কিন্তু সেবারও সীতারাম কেশরীর কাছে পরাস্ত হন। কিন্তু কংগ্রেসের প্রতি তাঁর আনুগত্যে ফাটল ধরেনি। ১৯৯৮ সালের অন্তর্বর্তী নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ।
১৯৯৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, সোনিয়া গান্ধী বিদেশিনী।  তাঁকে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন দলটির শীর্ষস্থানে বসানো ঠিক নয়।  দল ছেড়ে এসে তিনি ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস নামে নতুন দল গড়েন। কিন্তু ২০০৪ সালে যোগ দেন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-তে।
রাজনীতি ছাড়া দেশের ক্রিকেট প্রশাসনেও জড়িত ছিলেন পাওয়ার।  বরাবর বিজেপি বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও সঙ্ঘ পরিবারের কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো। ২০১৭ সালে এনডিএ আমলেই তিনি পেয়েছেন পদ্মবিভূষণ।
বহুদিন ধরেই তিনি বলে আসছেন, তরুণ নেতৃত্বকে সুযোগ করে দিতে চান।  নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে।  এবার জানালেন, ভোটের রাজনীতি থেকেই অবসর নিচ্ছেন পাকাপাকিভাবে।
পাওয়ারের পরে কে বা কারা এনসিপির নেতৃত্বে আসবেন পরিষ্কার নয় ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*