মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-শিবসেনা ফের সরকার গড়ছে ৷ তবে তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করল লোকসভায় ধরাশয়ী হওয়া কংগ্রেস ৷ নির্বাচনের ফল বলছে, কংগ্রেসের জোটসঙ্গী এনসিপির আসন বেড়েছে অনেকটা। বিশেষজ্ঞদের মতে শরদ পাওয়ারের শক্তিতে মহারাষ্ট্রে টিকে থাকলেন সোনিয়া-রাহুল গান্ধী ৷
লোকসভা নির্বাচনে ৪টি আসন পেয় ধস নেমেছিল এনসিপি শিবিরে। আর এই বিধানসভা নির্বাচনে শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি এগিয়ে আছে পঞ্চাশটির বেশি আসনে। লোকসভা ভোটের নিরিখেও তাদের অগ্রগতি বেশ ভালো ৷ লোকসভা ভোটে গেরুয়া ঝড়ে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায় কংগ্রেস। এনসিপির ভাগ্যে জুটেছিল মাত্র ৪টি আসন। আর তার ঠিক পাঁচ মাস পরেই অন্যরকম ছবি ধরা পড়ল এনসিপি শিবিরে। জোটসঙ্গী কংগ্রেস ধরাশায়ী হলেও এই বিধানসভা ভোটে ৭৮ বছর বয়সী শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বে থাকা এনসিপি যে প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখেছে তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৪ সালের থেকেও বেশি আসনে এগিয়ে থাকার বিষয়টি ভোট রাজনীতিতে অন্যরকম।
ভোটের আগেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল্ল পটেল, অজিত পাওয়ার সহ এনসিপির তাবড় নেতাদের দুর্নীতির দায়ে বহুবার বিব্রত হতে হয়েছে। এর মাঝেই মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার ফলে বেশ কিছু আসন ছেড়ে দিতে হয়েছে। কিন্তু, এত কিছুর পরেও মারাঠা রাজনীতিতে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখেছে এনসিপি। জোট শরিকের ঘাড়ে ভর করেই আরব সাগর তীরে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখল কংগ্রেস ৷
Be the first to comment