বৃষ্টি ভেজা একুশে জুলাইয়ের সভায় লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। এক দিকে কালিঘাটের বাড়ি থেকে যখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রওনা হচ্ছেন, তখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, আগের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বাংলাকে প্রতি মুহূর্তে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে বিজেপি। প্রতিটি গলিতে লোক দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাংলার মানুষ লড়াই করেছেন। তারপর তৈরি হয়েছে খেলা হবে। খেলা হয়েছে, যখন আমাদের দেশের মেয়ে, দেশের গৌরব, আমাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামনে এলেন। বিজেপিকে ধুলোয় উড়িয়ে দিয়েছেন। আজ গোটা দেশ শুধু নয়, পৃথিবীতে তিনি এখন রোল মডেল। যে ভাবে হুইল চেয়ারে থেকেও লড়াই জিতলেন মমতা, তা স্যালুটের যোগ্য।
পাশাপাশি এদিনের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রীর প্রশংসা যেমন করলেন তিনি, তেমনই আক্রমণ করলেন বিজেপিকেও। বললেন, আজ আমি স্যালুট জানাই, সালাম জানাই তাঁকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুব শক্তি, মহিলা শক্তির ভিত্তিতে যা করেছেন, আমার বলতে সঙ্কোচ নেই, তিনি এক মাত্র দেশের সবচেয়ে পরীক্ষিত নেত্রী। আজকে দেশে যে জিএসটির দুর্নীতি চলছে, নোটবন্দির যে দুর্নীতি হয়েছে। অগ্নিবীরের নামে যে দুর্নীতি চলছে, তা নিয়ে বলতে হবে। অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে যে ভাবে ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে বাদ দিয়ে মাত্র ২৫ শতাংশের চাকরি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তা দুর্নীতির ছবি তুলে ধরে। ওই ২৫ শতাংশ লোক আপনার লোক নয় তো। এই কারণে আক্রোশ তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে, যা লোকে ভুলতে পারছে না।
শত্রুঘ্ন আরও বলেন, যে ভাবে মানুষের আশীর্বাদ পেয়ে, আসানসোলে লক্ষ-লক্ষ মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন, এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়, আপনাদের জয়। আমি বিজেপিতে ছিলাম। কিন্তু আমি যখন দেখলাম, বাজপেয়ীজির নীতি থেকে বিজেপি সরে এসেছে, তখন আমিও সরে এলাম। আজকের প্রধানমন্ত্রী ও আজকের নেতারা যথেচ্ছাচার করছেন। আমি সহ্য করতে পারিনি, এ ভাবে চলবে না। আপনারা বেকারত্বের হিসাবে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। যে ভাবে সাধারণ মানুষের সামান্য সঞ্চয়ের অর্থকে ধুলোয় মিশিয়ে দিলেন নোটবন্দীর নামে, তা সহ্য করতে পারিনি। এরপরই তিনি বলেন, আমরা জবাব দেব, জবাব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে ২০২৪-এ খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারেন একজনই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment